মাদরাসার এবতেদায়ী স্তরকে জাতীয়করণের দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ দেশের মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে এবতেদায়ী স্তরকে জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইসলামি শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশ৷
শনিবার (১৫ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়।
ইসলামি শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশের সভাপতি ড. এ কে এম মাহবুবুর রহমান বলেন, দেশে ১ লাখ ৩০ হাজার প্রাইমারি স্কুল সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় চলছে। এ ছাড়াও এনজিও পরিচালিত হাজার হাজার স্কুল উপজেলা প্রশাসন থেকে কোড নাম্বার নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ ও বিনামূল্যে বই পাচ্ছে। অথচ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের তথ্য অনুযায়ী ৬৮৮২টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত। বাস্তবতার আলোকে বলা যায়, মাদ্রাসা শিক্ষাকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য কমপক্ষে ৩০ হাজার স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের আওতায় নেওয়া জরুরি।
তিনি আরও বলেন, প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো অর্ধশতাধিক পিটিআই রয়েছে। অথচ সংযুক্ত ও স্বতন্ত্র ১৫ হাজারের অধিক মাদ্রাসার জন্য বিগত ৪৮ বছরেও একজন শিক্ষকের প্রশিক্ষণের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। প্রাইমারি শিক্ষার উন্নয়নকল্পে প্রাক-প্রাথমিক স্তর রয়েছে। সেখানে শিক্ষক বরাদ্দ ও সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। প্রাক-প্রাথমিক স্তরে ৩৭ হাজার ৬৭২ জন শিক্ষক নিয়োগ পেয়ে কাজ করে যাচ্ছেন, যা সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। কিন্তু মাদ্রসার জন্য এ স্তর খোলার জন্য কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, একই দেশে ডিগ্রি ও মাস্টার ডিগ্রি পান প্রাইমারি হেড মাস্টার ও শিক্ষকরা যে কারিকুলাম ও সিলেবাস অনুসরণ করে পাঠদান করেছেন, এবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধানগণ ফাজিল (ডিগ্রি) ও কামিল (মাস্টার ডিগ্রি) সনদ নিয়ে একই কারিকুলাম ও সিলেবাসে পাঠদান করে যাচ্ছেন। উপরন্ত মাদ্রাসার স্বকীয় ৪টি অতিরিক্ত বিষয় পাঠদান করে যাচ্ছেন। অথচ এবতেদায়ী প্রধান একজন অফিস সহকারীর সমান বেতন পাচ্ছেন। একই দেশে এ বৈষম্য আর কতদিন চলবে বলেও প্রশ্ন রাখেন তিনি৷
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-
• মাদ্রাসার এবতেদায়ী স্তরকে জাতীয়করণের আওতায় নেওয়া।
• মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরিত এবতেদায়ী নীতিমালা অবিলম্বে বাস্তবায়ন কর।
• দেশের ৯১% ভাগ মুসলিম ও ৭% ভাগ বিভিন্নধর্মে বিশ্বাসী তথা শতভাগ মানুষের ঈমান, আকীদা, দেশপ্রেমের মানষিকতা গড়ে তোলার জন্য শিক্ষাক্রমকে সংশোধন করা, যাতে শিক্ষার্থীগণ ইমান- আকীদা ও বিশ্বাস নিয়ে গড়ে উঠে।
• স্বতন্ত্র ও সংযুক্ত এবতেদায়ী মাদ্রাসাসমূহকে প্রাইমারীর মত সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা।
• নতুন এবতেদায়ী মাদ্রাসা মঞ্জুরীর স্থগিতাদেশ তুলে নেয়া।
• এবতেদায়ী স্তরের শিক্ষকগণের প্রশিক্ষণের জন্য পিটিআইয়ের আদলে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা।
• এবতেদায়ী শিক্ষকগণকে প্রাইমারি স্কুলের মতো বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৫/০৭/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়