জাল নিবন্ধন সনদ ধরা, স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলেন শিক্ষিকা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ফরিদপুরঃ জেলার বোয়ালমারীতে স্কুলের কম্পিউটার শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জাল নিবন্ধন দিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাদিরদী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকা স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন বলে প্রধান শিক্ষক নিশ্চিত করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বোয়ালমারী উপজেলার ময়না বেলজানী গ্রামের হামিদা পারভীন ২০১০ সালে কাদিরদি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক পদে নিয়োগ পান। নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে তিনি নিয়মিত বেতনসহ স্কুলের সব সুবিধা ভোগ করতে থাকেন। ২০১৯ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে স্কুলে অডিট আসে। বিধি মোতাবেক স্কুলের সব শিক্ষক-কর্মচারীর কাগজপত্র পর্যালোচনা করে তারা চলে যান। পরবর্তী সময়ে চলতি বছরের ২৩ মার্চ মন্ত্রণালয় থেকে স্কুলে চিঠি আসে। ওই চিঠিতে কম্পিউটার শিক্ষিকা হামিদা পারভীনের নিবন্ধন সনদটি জাল বলে প্রমাণিত হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজিত কুমার দাস বলেন, '২০১৯ সালে মন্ত্রণালয়ের তদন্তে স্কুলের কম্পিউটার শিক্ষিকা হামিদা পারভীনের নিয়োগের সব কাগজপত্রের মধ্যে নিবন্ধন সার্টিফিকেটটি জাল বলে ধরা পড়ে তদন্ত কমিটির কাছে। পরে ওই তদন্ত কমিটি সার্টিফিকেটটি যেখান থেকে আনা সেখানে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, তার নিবন্ধন সনদ জাল। গত ২০২৩ সালের মার্চ মাসের ২৩ তারিখে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি এসেছে। ওই চিঠিতে লেখা আছে, তিনি যে সার্টিফিকেট দিয়ে নিয়োগ পেয়েছিলেন তার সার্টিফিকেটের মধ্যে নিবন্ধন সার্টিফিকেটটি জাল প্রমাণিত হয়েছে। তার নিয়োগ সঠিক হয়নি। তিনি যে সরকারি ও স্কুল থেকে সুবিধা নিয়েছেন তা ফেরতযোগ্য।'
তিনি আরো বলেন, 'ওই শিক্ষিকা হামিদা পারভীন গত ২২ মার্চ ২০২৩ তার পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে ওই শিক্ষিকাকে অবগত করা হয়েছে।'
চাকরি ছেড়ে দেওয়া কম্পিউটার শিক্ষিকা হামিদা পারভীন কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ব্যক্তিগত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
রবিবার সাতৈর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মো. রাফিউল আলম মিন্টু বলেন, 'আমি ওই স্কুলের সভাপতি হওয়ার আগেই ওই শিক্ষিকাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তবে ২০১৯ সালে মন্ত্রণালয় থেকে তদন্তদল এলে ওই শিক্ষিকার নিবন্ধন সার্টিফিকেটটি জাল বলে ধরা পড়ে।'
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, 'মন্ত্রণালয়ের তদন্তে ওই শিক্ষিকার নিবন্ধন সনদটি জাল বলে প্রমাণিত হয়েছে। তবে শুনেছি তিনি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।'
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১০/০৪/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়