bdjournal
রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
×
হোম
অন্যান্য
ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়ম, জানতে চাওয়ায় সাংবাদিককে হেনস্তা
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:৫৪ | আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:৫৫
জবি প্রতিনিধি
0
Shares
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনিট-১ (বিজ্ঞান শাখা) এর বিকেল শিফটের ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে জানতে চাওয়ায় এক সাংবাদিককে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল বাকির বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে শনিবার প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, রাস্তায় যানজট থাকায় নির্দিষ্ট সময়ের পর পরীক্ষার্থীদের হলে ঢুকতে দেওয়ার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু কোনো হলে ঢুকতে দিবে আবার কোনো হলে ঢুকতে দিবে না এরকম হওয়াটা দুঃখজনক। সাংবাদিক লাঞ্ছনার বিষয়ে তিনি উক্ত শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান।
জানা যায়, বিকালের শিফটের পরীক্ষায় আইন বিভাগের ৯১০ ও ৯১৫ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা শুরুর পাঁচ মিনিট পর আসলে দুই পরীক্ষার্থী সাদমান ইসলাম ও নাইমুল ইসলামকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তারা প্রক্টর অফিস থেকে অনুমতি নিয়ে এসেছে বললেও তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে পরীক্ষা শুরুর ৪০ মিনিটি পর্যন্ত অন্য কক্ষে শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করে। এসময় ঐ দুই পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলতে গেলে ‘দ্য এশিয়ান এইজ’ এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মিনার আল হাসানের মোবাইল কেড়ে নেয় ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল বাকি।
এসময় তাকে মানসিকভাবে হেনস্তা করা হয় এবং সাংবাদিকদের সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেন তিনি। এরপর প্রক্টর অফিসে সার্বিক বিষয়ে কথা বলতে গেলে সহকারী প্রক্টর বিভাস কুমার সরকার সাংবাদিকদের সঙ্গে রূঢ় ব্যবহার করেন।
এছাড়াও পরীক্ষা কেন্দ্রে একটি বেঞ্চে তিন জন করে পরীক্ষার্থী বসানো হয়েছে। এমনকি তাদের প্রত্যেকের প্রশ্নের সেট একই। তাছাড়া কলাভবনের কিছুসংখ্যক শিক্ষককে পরীক্ষা চলাকালীন হল থেকে বের হয়ে দল বেঁধে আড্ডা দিতে দেখা গেছে।
শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১১.৩০টা ১ম শিফটে জোড়সংখ্যার রোল এবং বিকাল ৩টা থেকে ৪.৩০টা পর্যন্ত ২য় শিফটে বিজোড়সংখ্যার রোল নম্বরধারী পরীক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বলেন, যানজটের বিষয়ে জানার পর মানবিক দিক বিবেচনায় নির্দিষ্ট সময়ের পর পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশনা ছিল। তারপরও কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে থাকলে এখন আর কিছু করার নেই।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.