প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমাদের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রস্তুতির জন্য বাংলা মডেল প্রশ্ন দেয়া হলো, আশা করি মনোযোগ দিয়ে অনুশীলন করবে আর একটা রুটিন করো কখন কী পড়বে।
বাংলা প্রশ্ন
সময় : ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট
প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২ ক্রমিক প্রশ্নের উত্তর লেখ :
বাংলার কৃষক-মজুর-শ্রমিকের অতি আপনজন, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। চিরকাল নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছেন তিনি। মজলুম মানুষের সুখে দুঃখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাদের কথা বলেছেন। সংগ্রাম করেছেন। এজন্য তিনি মজলুম জননেতা। সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামের এক দরিদ্র কৃষক পরিবার। এ পরিবারে আবদুল হামিদ খানের জন্ম হয় ১৮৮০ সালে। তাঁর বাবার নাম হাজী শরাফত আলী খান। মায়ের নাম মোসাম্মত্ মজিরন বিবি। অল্প বয়সেই তিনি পিতৃমাতৃহীন হন। তাঁর এক চাচা ইব্রাহীম খান তাকে শৈশবে আশ্রয় দেন। এই চাচার কাছ থেকেই তিনি মাদরাসায় পড়াশোনা করেন। এ সময় তিনি ইরাক থেকে আগত এক পীর সাহেবের স্নেহদৃষ্টি লাভ করেন। তিনি তাঁকে ভারতের দেওবন্দ মাদরাসায় পাঠিয়ে দেন। এ সময় তিনি দেশাত্ববোধে উদ্বুদ্ধ হন।
১.নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ (৫টি) : ১´ ৫ = ৫
ক. নির্যাতিত, খ. মজলুম, গ. দরিদ্র, ঘ. শৈশব, ঙ. নিপীড়িত, চ. সংগ্রাম,
ছ. কারারুদ্ধ।
২.নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ : ২ + ৪ + ৪ = ১০
ক.মওলানা ভাসানী কোন সময় হতে দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ হন?
খ.মজলুম জননেতা কে ছিলেন? কেন তাঁকে মজলুম জননেতা বলা হয়?
গ.কীভাবে তাঁর নাম মওলানা ভাসানী হলো?
প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ ক্রমিক প্রশ্নের উত্তর লেখ :
আমাদের পরিবেশ রক্ষার জন্য গাছপালার কোনো বিকল্প নেই। গাছপালা না থাকলে একসময় বাতাসের অক্সিজেন একেবারে শেষ হয়ে যেত। আমরা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তাম। গাছপালা আমাদের নানাভাবে সাহায্য করে। আমরা গাছপালা থেকে খাদ্য পাই, ফল ও ফুল পাই, ওষুধ পাই, মশলা পাই এবং মুখোরচক নানা পানীয় থেকে শুরু করে প্রাণিজ খাদ্য পর্যন্ত পেয়ে থাকি। তাছাড়া গাছপালা আমাদের বসতবাড়ি ও আসবাবপত্র তৈরির জন্য প্রায়োজনীয় কাঠের জোগান দেয়। জোগান দেয় জ্বালানি কাঠের ও বসতবাড়ির শোভা বর্ধন ও উদ্যান রচনায়ও গাছের জুড়ি নেই। চন্দ্রমল্লিকা, জিনিয়া, জুঁই ইত্যাদি ফুল এবং নানা রকমের অর্কিড ও পাতাবাহার গাছ পরিবেশকে শোভন ও সুন্দর করে।
কেবল সৌন্দর্যের পরিবেশ নয়, মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার অনুকূল পরিবেশ তৈরিতেও গাছের জুড়ি নেই। গাছপালা একদিকে নিসর্গের শোভা বৃদ্ধি, অন্যদিকে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায়ও পালন করে অসাধারণ ভূমিকা। যেখানে গাছপালা ও বনভূমি বেশি, সেখানে ভালো বৃষ্টি হয়। এর ফলে ভূমিতে পানির পরিমাণ বাড়ে, চাষাবাদ ও ফসল ভালো হয়। তাছাড়া গাছপালা মাটির উর্বরতা বাড়ায়, মাটির ক্ষয়রোধ করে। ঝড়, বৃষ্টি ও বন্যা প্রতিরোধেও গাছপালা সহায়তা করে। গাছপালা না থাকলে পরিবেশ হয়ে উঠত উষ্ণ। পৃথিবী হয়ে উঠত মরুভূমি। মানুষের অস্তিত্ব হতো বিপন্ন। তাই ইচ্ছেমতো গাছ কাটা ও বন উজাড় করা ঠিক নয়। তাহলে তা হবে আমাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি। এজন্যই সর্বত্র গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। তাই আজ স্লোগান উঠেছে ‘গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান’।
৩. নিচে কয়েকটি শব্দ এবং শব্দার্থ দেয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর : ১ ´ ৫ = ৫
শব্দ শব্দার্থ
শোভা সৌন্দর্য
অস্তিত্ব টিকে থাকার মতো অবস্থা
অনুকূল সহায়, হিতকারী
বিপন্ন সংকটাপন্ন
বনায়ন বন সৃষ্টির উদ্যোগ
ক. এমন পরিবেশে কারোই – টিকে থাকার কথা নয়।
খ.- পরিবেশ পেলে জীবজন্তু মরে না।
গ. তোমার বাগানের – দেখে মুগ্ধ হলাম।
ঘ. এবার আমরা – কর্মসূচি বাস্তবায়ন করব।
ঙ. পানির অভাবে গাছগুলোর জীবন – হয়ে গেল।
৪. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ : ৫´৩ = ১৫
ক.গাছপালা পরিবেশের কী কী উপকার করে? পাঁচটি বাক্যে লেখ।
খ.গাছপালা উজাড় হওয়ার পাঁচটি কারণ লেখ।
গ.তোমার জানা গাছপালা ধ্বংসের পাঁচটি ক্ষতিকর দিক লেখ।
৫.ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ (৫টি) : ১ ´ ৫ = ৫
ক. রহিয়াছে, খ. যাইতেছি, গ. যাইবেন, ঘ. থাকিল, ঙ. করিতেছে, চ. বসিয়া,
ছ. যাইবার।
৬. প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্ন তৈরিকরণ (কে, কী, কোথায়, কীভাবে, কেন, কখন) প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী (৫টি) : ১´ ৫ = ৫
১৮২২ সালে তিতুমীর হজ পালন করতে মক্কা যান। সেখানে তাঁর সাথে পরিচয় হয় ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব হযরত শাহ সৈয়দ আহম্মদ বেরলভীর সাথে। তিতুমীর তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। দেশে ফিরে তিনি স্বাধীনতার ডাক দেন। এতে তাঁর ওপর অত্যাচার শুরু হলে তিনি বারাসাতের নারকেল বাড়িয়ায় চলে যান। সেখানে তিনি তৈরি করেন ‘বাঁশের কেল্লা’। এ কেল্লায় সৈন্য সংখ্যা দাঁড়ায় চার-পাঁচ হাজার। চব্বিশ পরগনা, নদীয়া আর ফরিদপুর তাঁর দখলে এসে যায়। শেষ পর্যন্ত তিনি ১৮৩১ সালের ১৯ শে নভেম্বর ইংরেজদের হাতে শহিদ হন।
৭.নিচের যুক্তবর্ণগুলো বিভাজন করে বাক্যে প্রয়োগ কর (৫টি) : ২ ´ ৫ = ১০
ক) দ্ভ, খ) দ্ম, গ) ধ্ব, ঘ) ন্ত, ঙ) ন্তু, চ) ন্ধ, ছ) ন্দ।
৮.বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি পুনরায় লেখ : ৫
তোমাদের ক্রীতদাস-ক্রীতদাসীরও আল্লাহর বান্দা তাদের প্রতি নিষ্ঠুর ব্যবহার কর না তোমরা নিজেরা যা খাবে তাদেরও তাই খেতে দেবে নিজেরা যা কাপড় পরবে তাদেরও তাই পরতে দেবে
৯ .এককথায় প্রকাশ কর (৫টি) : ১ ´ ৫ = ৫
ক. বিনীত বা ভদ্র নয় যে, খ. যে উপকারীর অপকার করে, গ. শুয়ে আছে এমন,
ঘ. সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি এমন, ঙ. সোনালি রঙের বুনোলতা, চ. যে হিংসা করে,
ছ. সমুদ্রের তীরে বালুময় স্থান।
১০.বিপরীত শব্দ লেখ (৫টি) : ১ ´ ৫ = ৫
ক. সংখ্যাগরিষ্ঠ, খ. সাফল্য, গ. সুন্দর, ঘ. শক্তিশালী, ঙ. মৌন, চ. ভর্তি, ছ. বড়
১১.কবিতা/ছড়া পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ : ২ + ৫ + ৩ = ১০
এই যে নদী
নদীর জোয়ার
নৌকা সারে সারে,
একলা বসে আপন মনে
বসে নদীর ধারে—
এই ছবিটি চেনা
মনের মধ্যে যখন খুশি
এই ছবিটি আঁকি,
ক. স্বদেশ কবিতায় কী দেখে ছেলেটির দিন কেটে যায়? ২
খ.কবিতাংশটুকুর মূলভাব লেখ। ৫
গ.ছবিটি এমনি পাওয়া বলা হয়েছে কেন তা তিনটি বাক্যে লেখ। ৩
১২. তোমার এলাকায় নজরুল একাডেমিতে সদস্যপদ গ্রহণের জন্য নিচের ফরমটি পূরণ কর : ৫
সদস্য ফরম
১। নাম : …………………………………………………………………..
২। পিতার নাম : ………………………………………………………….
৩। মাতার নাম : ………………………………………………………….
৪। বিদ্যালয়ের নাম :……………………………………………………..
৫। শ্রেণি : ……………………. রোল :
৬। জন্ম তারিখ : …………….. বয়স : …………………………
৭। প্রিয় শখ :………………………………………………………………
………………………
আবেদনকারীর স্বাক্ষর
১৩. তোমার নাম মনির/মিনা। তোমার বন্ধু রাজা/রোজীকে তোমার দেখা যে কোনো একটি দর্শনীয় স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে একটি পত্র লেখ। ৫
১৪. ২০০ শব্দের মধ্যে নিচের যেকোনো একটি বিষয় অবলম্বনে রচনা লেখ : ১০
ক.তোমার নিজ গ্রাম : সূচনা— অবস্থান— গ্রামের জনসংখ্যা— বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান— প্রাকৃতিক সৌন্দর্য— উপসংহার।
খ.বৃক্ষরোপণ : সূচনা— বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা— বাংলাদেশের বনাঞ্চল— বৃক্ষরোপণ অভিযান— উপসংহার।
গ.বিজয় দিবস : সূচনা— পটভূমি— বিজয় দিবসের তাত্পর্য— বিজয় দিবসের চেতনা— উপসংহার।
ঘ.কম্পিউটার : সূচনা— উদ্ভাবন— উপকারিতা— কম্পিউটারের ক্ষতিকর দিক— উপসংহার।
হিমন এডওয়ার্ড গমেজ, সিনিয়র শিক্ষক , সেন্ট গ্রেগরী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.