প্রাথমিক শিক্ষার হার বাড়ানো এবং ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমানোর লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য দুপুরের খাবার অন্তর্ভুক্ত করে ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতি ২০১৯’ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ নীতির খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়।বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
নীতিমালার খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘একটি শিশুর প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় শক্তির চাহিদার ন্যূনতম ৩০ শতাংশ স্কুল মিল থেকে আসা নিশ্চিত করা হবে। প্রতিদিনের খাবারে বৈচিত্র্য আনতে পুষ্টিচাল, ডাল, পুষ্টিতেল, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বিভিন্ন মৌসুমি তাজা সবজি, ফল এবং সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ডিম দিয়ে খাবার রান্না করা হবে। অভিভাবক ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে পরামর্শ করে খাবারের মেনু ঠিক করা হবে।’
জানা গেছে, বর্তমানে ১০৪ উপজেলায় প্রকল্পের মাধ্যমে স্কুল ফিডিং (বিস্কুট বিতরণ) চালু আছে। এবার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই স্কুল ফিডিং চালু করতে চায় সরকার। যেহেতু অনেক শিক্ষার্থী খালি পেটে স্কুলে যায় সেহেতু স্কুলে খাবার দেওয়ার ব্যবস্থাটি খুবই প্রয়োজন। পেটে ক্ষুধা নিয়ে পড়ায় মনোযোগ দেওয়া কষ্টকর। বিদ্যালয়ে খাবার দেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার পাবে। এর ফলে পরিবার থেকে শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠানোর জন্যে আগ্রহও তৈরি হবে। এতে একদিকে যেমন বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার বাড়বে, অন্যদিকে, শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় ছাড়ার প্রবণতাও কমবে।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.