এইমাত্র পাওয়া

কাশ্মীরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও উপস্থিতি কম

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগর জেলায় আজ সোমবার (১৯ আগস্ট) থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে প্রায় ১৯৬টির বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তবে সেখানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। একই সঙ্গে শিথিল করা হচ্ছে অঞ্চলটিতে প্রশাসনের আরোপিত বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধও। গত রবিবার (১৮ আগস্ট) সরকারি এক ঘোষণার মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) রোহিত কানসাল।

একই দিন জম্মুতে ফের বন্ধ করে দেওয়া হয় মোবাইলের ২জি পরিষেবাও। এমনকি নতুন করে চালু করা হয় সরকারের বিভিন্ন বিধিনিষেধও।

এ দিকে স্থানীয়দের বরাতে গণমাধ্যম ‘জি নিউজ’ জানায়, সড়কে অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে যানবাহন চলাচল; যার প্রেক্ষিতে শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল থেকে হাতেগোনা কিছু দোকান পাটও খুলতে দেখা যায়। যদিও গত রবিবার শ্রীনগরে ছিল একেবারেই অন্য চেহারা। এ দিন বাইকে চড়ে কিছু যুবককে স্থানীয় দোকানিদের তাদের কারবার বন্ধ রাখার কথা বলে বেড়াতে দেখা গেছে। তবে সোমবার থেকে রাজ্যের ১৯৬টির বেশি প্রাইমারি স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

অপর দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে কাশ্মীরের মুখ্যসচিব রোহিত কানসাল বলেছেন, ‘আমরা শ্রীনগরের প্রায় ১৯৬টি প্রাইমারি স্কুল পুনরায় খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি। একই সঙ্গে শিথিল করা হচ্ছে পূর্বে আরোপিত বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধও।’

রাজ্যের এই মুখ্যসচিব আরও জানান, শনিবার থেকে কাশ্মীরের মোট ৩৫টি পুলিশ স্টেশনের বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। তাছাড়া পরদিন আরও ৫০টির বেশি স্টেশনে শিথিল করা হয় বিধিনিষেধ। যদিও এর পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো জায়গা থেকে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি বলেও জানান কাশ্মীরি মুখ্যসচিব।

তিনি আরও বলেন, ‘গোটা উপত্যকায় ল্যান্ডলাইন পরিষেবা সম্পূর্ণ রূপে চালু করতে পুরো দমে কাজ করে যাচ্ছে বিএসএনএল।’

এর আগে গত ৫ আগস্ট (সোমবার) ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছিল ক্ষমতাসীন মোদী সরকার। যার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে বিতর্কিত লাদাখ ও জম্মু ও কাশ্মীর সৃষ্টির প্রস্তাবেও সমর্থন জানানো হয়।

এসবের মধ্যেই চলমান কাশ্মীর ইস্যুতে পাক-ভারত মধ্যকার সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে একে একে ভারত সরকারের সঙ্গে বাণিজ্য, যোগাযোগসহ সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তান। যদিও এমন সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে পাক সরকারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এশিয়ার পরাশক্তি চীন; আর ভারত পাশে পেয়েছে রাশিয়াকে।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.