অনলাইন ডেস্ক :
ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে শ্লীলতাহানির মামলায় মাদ্রাসা অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে এ মামলায় সিরাজের বিচার শুরু হলো।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশীদ এ চার্জ গঠন করেন।
এর আগে গত ৯ জুলাই ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলার চার্জ গ্রহণ করা হয়। গত ৩ জুলাই ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে চার্জশিটটি জমা দেয়া হয়েছিল। ১০ পৃষ্ঠার চার্জশিটে একমাত্র আসামি সিরাজউদ্দৌলা।
এদিকে নুসরাত হত্যা মামলায় আসামিদের আজ আদালতে হাজির করা হয়। ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে সাক্ষীদের জেরা করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই ফেনী পরিদর্শক শাহ আলম জানান, ২৭ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা নুসরাতকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন। এ ঘটনায় নুসরাতের মা শিরীন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করলে পুলিশ অধ্যক্ষকে আটক করে। পরে পুলিশ সদর দফতর থেকে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। পিবিআই ৯৬ দিনের মাথায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, যৌন হয়রানির মামলায় ২৭১ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। এর সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার সময় মোবাইল ফোনে ধারণকৃত অডিও-ভিডিও রেকর্ডের দুটি কপি।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এম শাহজাহান সাজু বলেন, নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন হয়রানির মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পিবিআই।
রাফিকে হত্যা ঘটনার আগে যৌন হয়রানির মামলায় ১৯ জুন একমাত্র আসামি অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার দুদিনের রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
তার আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহ আলম অধ্যক্ষ সিরাজকে আদালতে হাজির করেন। তারও আগে গত ২২ মে অধ্যক্ষের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল জানান, ২৭ মার্চের যৌন হয়রানির মামলায় সিরাজউদ্দৌলাকে দুদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
নুসরাতকে যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ সিরাজ। হত্যা মামলায় তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি জবানবন্দিতে ২৭ মার্চ যৌন হয়রানির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। ফলে এ মামলায় নতুন করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার প্রয়োজন হয়নি।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.