নিউজ ডেস্ক।।
করদাতারা অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন দিতে পারবেন। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন দেওয়া যাবে। এবার করমুক্ত আয়সীমা বাড়েনি। গতবারের মতো সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত থাকবে, কিন্তু এবার রিটার্ন দেওয়ার সময় পাঁচটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, রিটার্ন জমার সময় করের হিসাব-নিকাশে বাজেটে পাঁচটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবার দেখা যাক, রিটার্ন জমার ক্ষেত্রে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য কোনটি পাঁচটি খাতে পরিবর্তন এল।
এক. আপন ভাইবোন দান করলে কর নেই আপন ভাইবোনের দানকে করমুক্ত হিসেবে এবার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রিটার্ন নথিতে ভাইবোনের দান করা অর্থ বা সম্পদ করমুক্ত থাকবে। এ উদ্যোগের ফলে পারিবারিক জমি, ফ্ল্যাটসহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর আরও সহজ হবে। এমনকি বিদেশে থাকা ভাইবোনের অর্থ পাঠালেও তা করমুক্ত থাকবে। এত দিন শুধু স্বামী-স্ত্রী, মা-বাবা ও সন্তানেরা দান করলেই করমুক্ত থাকত।
দুই. কৃষি খাতের আয় পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত শহরের মানুষও জমিজমা কিনে শাকসবজির উৎপাদন করেন। অনেকে জমি লিজ নিয়ে কৃষিকাজ করেন। বাণিজ্যিক কৃষিকে উৎসাহিত করতে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। কোনো করদাতার কৃষি থেকে আয় পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত রাখা হয়েছে।
তিন. বেসরকারি চাকরিজীবীর আয় গণনায় বাড়তি সুবিধা বেসরকারি চাকরিজীবীদের করযোগ্য আয় গণনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বাদযোগ্য অঙ্কের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। নানা ধরনের ভাতাসহ এত দিন সাড়ে চার লাখ টাকা পর্যন্ত আয় বাদ দেওয়া যেত। এটি এখন থেকে পাঁচ লাখ টাকা হবে। আরও পড়ুন তুলা আমদানিতে ২% অগ্রিম কর প্রত্যাহার চান ব্যবসায়ীরা ০৪ জুলাই ২০২৫
চার. পেনশনের আয় করমুক্ত জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের আয় ও জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সর্বজনীন পেনশন স্কিম থেকে প্রাপ্ত সুবিধাভোগীর কোনো আয় করমুক্ত থাকবে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় এখন প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার গ্রাহক আছেন।
পাঁচ. চাকরিজীবীদের মরণব্যাধির চিকিৎসার খরচ করমুক্ত চাকরিজীবী করদাতাদের মরণব্যাধির চিকিৎসা খরচকে করমুক্ত রাখা হয়েছে। চাকরিরত কর্মচারীদের জন্য কিডনি, লিভার, ক্যানসার, হার্টের চিকিৎসার পাশাপাশি মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার ও কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপনসংক্রান্ত চিকিৎসা বাবদ প্রাপ্ত অর্থ করমুক্ত থাকবে। এসব চিকিৎসায় বিপুল অর্থ খরচ হয়।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.