নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেটঃ বিচ্ছিন্নভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ না করে পুরো শিক্ষাব্যবস্থার জাতীয়করণ ও ইউনেস্কোর সুপারিশ মোতাবেক শিক্ষাখাতে জিডিপির ৬% বরাদ্দসহ এগারো দফা দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ কলেজ—বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস) সুনামগঞ্জ জেলা শাখা ।
গতকাল বুধবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্মারকলিপি সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন বাকবিশিস সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শুভঙ্কর তালুকদার, সহ—সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শাহীনা চৌধুরী রুবি, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক দুলাল মিয়া, অর্থ সম্পাদক প্রভাষক কাঞ্চন বৈদ্য প্রমুখ।
বাংলাদেশ কলেজ—বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস) এরর দাবিসমূহ
১। শিক্ষাব্যবস্থার জাতীয়করণ চাই, বিচ্ছিন্ন—বিক্ষিপ্ত সরকারিকরণ নয়। ইউনেস্কোর সুপারিশ মোতাবেক শিক্ষা খাতে জিডিপি’র ৬% বরাদ্দ করতে হবে।
২। সরকারি শিক্ষক—কর্মচারীদের ন্যায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক—কর্মচারীদেরও শতভাগ উৎসবভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসাভাতা প্রদান করতে হবে।
৩। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক ১১টি বিষয়ের উপর গঠিত ১১টি সংস্কার কমিশনের ন্যায় শিক্ষা বিষয়ের উপর শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে।
৪। উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ এবং উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের জ্যেষ্ঠ প্রভাষকের পদ বাতিল করে পূর্বের ন্যায় সহকারী অধ্যাপকের পদ চালু করতে হবে।
৫। বেসরকারি কলেজে অনার্স ও মাস্টার্সসহ বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের এমপিওভূক্ত করাসহ নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অবিলম্বে এমপিওভুক্ত করতে হবে।
৬। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক—কর্মচারীদের জন্য সরকারি শিক্ষক—কর্মচারীদের ন্যায় অবসর সুবিধা প্রদান করতে হবে। তবে এই বিধান না হওয়া পর্যন্ত অবসরে যাওয়ার তিন মাসের মধ্যেই কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর তহবিলের টাকা প্রদান করতে হবে। অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করতে হবে।
৭। বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির জন্য দ্রুত নীতিমালা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। বেসরকারি কলেজে সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপকের পদ সৃষ্টি করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় সকল শিক্ষপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের চাকুরির বয়সসীমা ৬৫ বছর করতে হবে।
৮। শিক্ষা প্রশাসনে বেসরকারি শিক্ষকদের আনুপাতিক হারে পদায়ন করতে হবে।
৯। অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে পূর্বের ন্যায় অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করতে হবে এবং অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগও শিক্ষক নিয়োগের ন্যায় এনটিআরসিএ বা অন্য কোনো বিকল্প শিক্ষক নিয়োগ কমিশনের মাধ্যমে করতে হবে।
১০। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির জন্য শিক্ষকদের উপর অসত্য অপবাদ দিয়ে হামলা, লাঞ্চনা, হয়রানি ও চাকুরিচ্যুতি বন্ধ করতে হবে।
১১। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৮/০৫/২০২৫
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.