সিরাজগঞ্জঃ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই স্কুল আঙিনার ১৮টি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ভাটবেড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয়রা। গাছ কাটার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় হট্টগোল সৃষ্টি হয়েছে।
সবশেষ বুধবার (২৯ এপ্রিল) সকালে এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ছাইদুল ইসলাম ও ভাটবেড়া গ্রামের বাসিন্দা রমজান আলী অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার দূর্গানগর ইউনিয়নের ভাটবেড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন দুলাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে স্কুল আঙিনায় বেড়ে ওঠা বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১৮টি বড় বড় গাছ কেটে ফেলেছেন। তিনি এসব গাছ দেড় লাখ টাকায় বিক্রির পরিকল্পনা করেছিলেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। গাছগুলো কেটে নেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। ফলে এলাকাবাসীর চাপে বন্ধ হয়ে গেছে গাছ কাটার কার্যক্রম। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, স্কুলে হাত-পা ধোয়ার ব্লক (ওয়াশব্লক) নির্মাণের জন্য গাছ কাটা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেই গাছ কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ছানোয়ার হোসেন জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন আনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটতে হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা ও বন বিভাগের কাছে লিখিত আবেদন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ অনুমোদন দিলে তবেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটা যাবে। কিন্তু এই ধরনের প্রক্রিয়া ছাড়া গাছ কাটা দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমোদন ছাড়া গাছ কাটলে সরকারি বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত জানান, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি বিধি ভঙ্গ করে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাছ কাটার অপরাধ প্রমাণ হলে, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ ফৌজদারি মামলা দায়ের করার বিধান রয়েছে।
একই কথা জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হারুনর রশীদ। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের গাছ সরকারি সম্পদ। অনুমোদন ছাড়া কাটা হলে সরকারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/৩০/০৪/২০২৫
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.