এইমাত্র পাওয়া

বান্দরবানে নেকাব পরে আসায় শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

বান্দরবানঃ বান্দরবানে বেসিক ট্রেনিং অন প্রাইমারি টিচার্সের ভাইভা পরীক্ষায় নেকাব পরে অংশ গ্রহণ করায় এক শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন খানের বিরুদ্ধে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান শহরের রেইচা এলাকায় (পিটিটিসি) প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে প্রাইমারি শিক্ষকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের ভাইভা পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, প্রাইমারি শিক্ষকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের শেষ দিনের ভাইভা পরীক্ষায় নেকাব পরে অংশ নেন লামা উপজেলার রুপসী পাড়া চিমকুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মাশরুফা। এসময় ভাইভা বোর্ডে থাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন খান ওই শিক্ষিকাকে নেকাব পরে আসার কারণে বিভিন্ন কথা বলে হেনস্থা করেন। পরে ওই শিক্ষিকা পরীক্ষা শেষে বাইরে এসে তার ছোট ভাইকে বিষয়টি জানালে সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। ওঠে সমালোচনার ঝড়।

এ বিষয়ে লাঞ্ছনার শিকার ওই শিক্ষিকা মাশরুফা বলেন, আজকে আমাদের ট্রেনিংয়ের শেষ দিন ছিল। যথারীতি আমি নেকাব পরে ভাইভা দিতে যাই। তখন ডিপিও স্যার আমাকে বলেন তুমি নেকাব পরে আসছো কেন? এত পর্দা করলে তুমি প্রাথমিক শিক্ষক হতে আসছো কেন? তখন আমি স্যারকে উত্তর দেই, আমি ধর্মীয় কারণে আগে থেকেই পর্দা করি। তখন স্যার আমাকে বলেন নেকাব পরে কোনো ধর্মীয় পাপ মোচন হবে?’ তিনি আমাকে আরও বলেন এটার কারণে গতকালও আমি একজনকে সাসপেন্ড করে আসছি। তখন আমি বলেছি, স্যার আমি চাকরি নেয়ার ভাইভা পরীক্ষাতেও নেকাব পরে গেছি। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় আর কথা না বলে চলে এসেছি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন খান বলেন, বিটিপিটি ভাইভা বোর্ডের আমি একজন সদস্য। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা সত্য নয়। আমি ওই শিক্ষিকাকে জিজ্ঞেস করেছি আপনি নেকাব পরে আছেন আপনাকে তো চিনা যাচ্ছে না। অনেকে প্রক্সি পরীক্ষা দেন। আর আপনি কি স্কুলে বাচ্চাদের নেকাব পরে পড়ান? তখন তিনি বলেছেন, না নেকাব খুলে পরাই। ব্যাস, তখন আমি আর কিছু বলিনি।

উল্লেখ্য, মোফাজ্জল হোসেন খান গত ১০ ফেব্রুয়ারি জামালপুর থেকে বদলি হয়ে বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগদান করেন। তবে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান তাকে গ্রহণ করেননি। পরে জেলাপ্রশাসকের অনুরোধে তাকে গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৯/০৪/২০২৫


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading