নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ অবশেষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ‘সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ) (৪র্থ সংশোধিত)’ প্রকল্পসহ সভায় ১৬টি অনুমোদন পেয়েছে।
রবিবার পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ও একনেকের চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। একনেক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
২০১৪ থেকে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (SESIP) বাস্তবায়িত হয়ে সাত বার বৃদ্ধি পেয়ে গত ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে শেষ হলে সেসিপে শিক্ষার বিভিন্ন দপ্তরে ১১৮৭ পদে কর্মকর্তাদের জানুয়ারি থেকে বেতন বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের চলমান সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ) (৩য় সংশোধিত) প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি করে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে।
জানা গেছে, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মাধ্যমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন এবং উন্নততর শিক্ষা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও এডিবি এর যৌথ অর্থায়নে ২০০১ থেকে ২০০৭ মেয়াদে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (SESIP), ফলোআপ প্রজেক্ট হিসাবে ২০০৭ থেকে ২০১৪ মেয়াদে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (SESDP) সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়। পরবর্তীতে SESDP এর সকল কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ২০১৪ থেকে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (SESIP) বাস্তবায়িত হচ্ছে যা সাত বার বৃদ্ধি পেয়ে ডিসেম্বর, ২০২৪ সালে সমাপ্ত হয়। এরপর এই প্রকল্পের মেয়াদ আবার বাড়ল।
তবে সেসিপে কর্মরত কর্মকর্তারা কর্মরত জনবলসহ সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (সেসিপ) ১ হাজার ১৮৭টি পদ রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দাবি করে আসছেন। এই দাবিতে তারা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে এর আগে মানববন্ধন কর্মসূচীও পালন করে।
জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর সরকারের ‘এ’ গ্রেডের দপ্তর হলেও তাদের ‘ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট উইং’ রাজস্ব খাতভুক্ত নয়। এই অধিদপ্তরের পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালকসহ ১৫টি পদ ‘সেসিপ’-এর মাধ্যমে চলছে। মাউশির ৯টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালকসহ ১৪৭টি পদেও সেসিপের জনবল রয়েছে, যারা শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির কাজ করেন।
সেসিপে মোট যত পদঃ
সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট ০১ টি, প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ ০১টি, কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ ০২ টি, প্রোগ্রামার ০১টি, শিক্ষা পরিসংখ্যানবিদ ০১টি, মেইনটেনেন্স ইঞ্জিনিয়ার ০১টি, সহকারী মেইনটেনেন্স ইঞ্জিনিয়ার ০৭ টি, থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ২৫টি, থানা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার ২৫টি, উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার ৪৭২টি, গবেষণা কর্মকর্তা ৮৬টি, সহকারী পরিদর্শক ২৪৪টি, সহকারী প্রোগ্রামার ৫৬টি, ডিস্ট্রিক্ট ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর ৫৯টি, সহকারী থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ২১ টি, কম্পিউটার অপারেটর ২১ টি, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ০৬টি, হিসাবরক্ষক ০১টি, হিসাবরক্ষক ১৬টি, কম্পিউটার অপারেটর কাম অফিস সহকারী ১৭টি, গাড়ি চালক ১৫টি, অফিস সহায়ক ৫৯টি, নাইট গার্ড ২৫টি, পরিচ্ছন্নকর্মী ২৫টি, সর্বমোট ১১৮৭টি ।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২০/০৪/২০২৫
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.