উপর মহলের নির্দেশে রাতে ইবি শিক্ষার্থীদের গবেষণা ল্যাব ব্যবহারে বাঁধা

জামাল উদ্দীন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) উপর মহলের নির্দেশে রাত ৮টার পর শিক্ষার্থীদের গবেষণা ল্যাব ব্যবহারে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকদের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ল্যাব থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিভাগ হতে উপর মহলের নির্দেশে তাদের এ কাজে বাঁধা দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

এ ঘটনায় শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব এক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং গবেষণাকাজে নিরবচ্ছিন্ন ল্যাব-ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান তারা। একইসঙ্গে সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘন্টা ল্যাব খোলা রাখার দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত শিক্ষার্থীরা।

বিবৃতিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংসহ একাধিক বিভাগে বিশেষায়িত কিছু গবেষণাগার রয়েছে, যেখানে নিরলসভাবে একাডেমিক, টেকনিক্যাল ও গবেষণাভিত্তিক কাজ পরিচালিত হয়। এসব ল্যাব আধুনিক যন্ত্রপাতি ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার ইত্যাদি সুবিধাসহ সার্বক্ষণিক (২৪/৭) ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত। গবেষণায় নিয়মিত অগ্রগতির জন্য শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লট অনুযায়ী সারা দিন-রাত এসব ল্যাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে কাজ করে থাকেন।

আরও জানান, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিভাগ হতে উপর মহলের নির্দেশ আছে মর্মে রাত ৮টার পর এসব বিভাগের ল্যাবে শিক্ষার্থীদের কাজ করতে বাধা প্রদান করা হচ্ছে। এমনকি বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকদের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের ল্যাব থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ ধরনের পদক্ষেপ শুধু নিয়মের অপপ্রয়োগ নয়, বরং এটি শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন ও গবেষণাকেন্দ্রিক প্রয়াসে সরাসরি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

এ বিষয়ে সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি ইজমাতুল ফেরদৌস ও সাধারণ সম্পাদক জুনাইদুল মোস্তফা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বর্তমান উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণের পর শিক্ষার্থীবান্ধব বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন, যার মধ্যে লাইব্রেরির সময়সীমা বৃদ্ধি ও ক্যাম্পাস ডিজিটালাইজেশন অন্যতম। কিন্তু ল্যাবে প্রবেশে এই বিধিনিষেধ সেই ইতিবাচক ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৯/০৪/২০২৫