এইমাত্র পাওয়া

চলতি জানুয়ারি থেকেই ৫০ শতাংশ মহার্ঘভাতা কার্যকরের জোরালো দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ২০১৫ সালের পে-স্কেলকে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে বর্তমান বাজারের সাথে সামঞ্জস্য করে মহার্ঘ ভাতা চালুর দাবি জানান সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তারা এ দাবি জানান।

এসময় তারা বলেন, ২০১৫ সালের পে-স্কেল ছিলো বৈষম্যমূলক। যেখানে কর্মকর্তাদের সাথে কর্মচারীদের বড় বৈষম্য রয়েছে। গেলো সাত বছরে পে-স্কেল সংস্কারের দাবি করা হলেও তা করা হয়নি।

এসময় নতুন পে-স্কেল চালু কিংবা সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত মহার্ঘ ভাতা দিয়ে কাজ চালানোর দাবি জানান তারা। সেই সাথে সিলেকশন গ্রেড, টাইমস্কেল বহালের দাবি তোলেন। দাবি আদায় না হলে পহেলা মে থেকে সকল কর্মচারীরা প্রেসক্লাবে গণজমায়েতের ঘোষণা দেন কর্মচারীরা।

এর আগেও কর্মচারীরা নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন ও ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতাসহ ৭ দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

কর্মচারীদের দাবির মধ্যে রয়েছে, বৈষম্যমুক্ত ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়নের জন্য পে-কমিশন গঠন ও পে-স্কেল বাস্তবায়নের আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য ৫০ শতাংশ মহার্ঘভাতা চলতি জানুয়ারি থেকেই কার্যকর করতে হবে।

যে সব কর্মচারী মূল বেতনের শেষ ধাপে উন্নীত হয়েছে তাদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি নিয়মিত করতে হবে। বেতন স্কেলের বৈষম্য নিরসনের জন্য ১০ ধাপে বেতন স্কেলে নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে।

সচিবালয়ের মতো সব সরকারি, আধাসরকারি দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের সমপদগুলোর পদবি ও গ্রেড পরিবর্তন করতে হবে এবং এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করে কর্মচারীদের মধ্যে সৃষ্ট বৈষম্য দূর করতে হবে।

২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের পে-স্কেলের গেজেটে প্রত্যাহারকৃত ৩টি টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল ও সব স্বায়তশাসিত প্রতিষ্ঠানে গ্রাচ্যুইটির পাশাপাশি পেনশন প্রবর্তনসহ বিদ্যমান গ্রাচ্যুয়িটি-আনুতোষিকের হার ৯০ শতাংশের স্থলে ১০০ শতাংশ নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচ্যুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।

বাজারমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতি ও জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির বিষয় বিবেচনা করে প্রদেয় সব ভাতা পুনঃনির্ধারণ, ১১-২০ গ্রেডের রেশন ব্যবস্থার প্রর্বতন ও সরকার তেকে গৃহঋণ সুবিধা সহজ করতে হবে।

ব্লক পোস্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সব পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড দিতে হবে, এছাড়াও টেকনিক্যাল কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদের টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দিতে হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/০৪/২০২৫


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading