এইমাত্র পাওয়া

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সেবা পেতে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ

ঢাকাঃ লোকবল সংকট ও ভারপ্রাপ্তে ভারাক্রান্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকে সেবা পেতে দুর্ভোগে পড়ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সময়মত সনদ না পাওয়া, দপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুপস্থিতি শিক্ষার্থীদের এ দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়েছে।

সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা সনদ, মার্কশিট বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তুলতে দাঁড়িয়ে আছেন দপ্তরের সামনেই। তবে সেখানে কোনো কর্মচারীর উপস্থিতি নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আরেকটি কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই কর্মচারী বাইরে গেছেন। ফলে শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়ে আছে প্রায় ঘণ্টা খানেক। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ কর্মচারীদের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে সময়মত পাওয়া যায় না। ফলে দুই মিনিটের কাজের জন্য অপেক্ষা করতে হয় আধ ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্তও।

স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ইব্রাহীম বলেন, সার্টিফিকেটের কাগজপত্র জমা দিয়েছিলাম সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা ছিল অথচ এখানে কেউ নাই। ফোন দিলাম বললো নিচে কাজে গেছে। একজন স্টাফ কাজে গেলে আরেকজন স্টাফ তো ব্যাকআপ করে রাখা উচিত। ৪১টা ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী এখানে সনদ তুলতে আসে। অথচ এসে লোক পাওয়া যায় না। এমন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে লোকবল বাড়ানো উচিত।

আরেক শিক্ষার্থী শান্ত বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ইভিনিংয়ের শিক্ষার্থীদেরও সনদ এখান থেকে দেওয়া হয়। অথচ এখানে এসে অনেক সময় কাউকে পাওয়া যায় না। এমন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে লোকবল বাড়ানো উচিত।

এদিকে, গত ৩১ অক্টোবর জবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে দায়িত্ব পান সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান। তিনি একই বিভাগের চেয়ারম্যানও। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে ভারপ্রাপ্ত দায়িতও পালন করছেন তিনি। অন্যান্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এই দপ্তরেও প্রয়োজনীয় সময় দিতে পারেন না তিনি। ফলে এই দপ্তরে সেবা পেতে দুর্ভোগ আরো বেড়েছে।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে শিক্ষার্থীরা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না এই অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ (উপাচার্য, চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ ধরণের অভিযোগ এখনও আমরা পাইনি। এখন বিষয়টা জানতে পারলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবাগুলো আরও কিভাবে শিক্ষার্থীবান্ধব করা যায় সেটা নিয়ে আমরা কাজ করবো।

লোকবল সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের এখানে জনবল সংকট রয়েছে। এই সংকট কাটাতে নতুন করে অর্গানোগ্রাম তৈরির জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিভিন্ন দপ্তরে জনবলের চাহিদাপত্র চাওয়া হচ্ছে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা জনবল নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করবো। আশা করি কমিটির কাজ শেষ হলে খুব শিগগিরই ইউজিসি ও মন্ত্রণালয় থেকে এটি অনুমোদন হয়ে আসবে। তখন এই সংকট আর থাকবে না।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৫/০৩/২০২৫


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading