এইমাত্র পাওয়া

শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ: পক্ষে-বিপক্ষে

ঢাকাঃ দাস বাবু কলিকাতা যাবার জন্য মালদহ থেকে ট্রেনে উঠলেন। সেই ট্রেনে বসা তো দূরের কথা, দাঁড়াবার জায়গা নেই। মোক্ষম বুদ্ধি এল মাথায়। টয়লেটে গিয়ে একটা রুমাল নাকে মুখে বেঁধে ফিরে এসে তিনি গোটা কয়েক হাঁচি দিলেন। ব্যস, যাত্রীরা মালপত্র নিয়ে অন্য কম্পার্টমেন্টে যেতে লাগলেন। একটা ফাঁকা সিট পেয়ে দাস বাবু চাদর পেতে জমিয়ে শুয়ে পড়লেন। সারা দিনের ক্লান্তিতে ঘুমিয়েও পড়লেন।

সকালে চা ওয়ালার হাঁকে ঘুম ভাঙতে দেখলেন, ট্রেন প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে। চা ওয়ালার কাছে তিনি জানতে চাইলেন ,”এটা কোন স্টেশন?” সে বললো ” মালদহ’।

দাস বাবু ঝাঁঝিয়ে উঠলেন ” মালদহ থেকে তো কাল রাতেই ট্রেনে চেপেছি ।”সে বললো “দাদা! এই কম্পার্টমেন্টে কাল রাতে এক করোনা পেশেন্ট উঠেছিল বলে এই কম্পার্টমেন্টটি কেটে রেখে ট্রেন চলে গেছে।

এই ধরনের স্বার্থপর দাস বাবু আমাদের সমাজেও আছে। তাদেরকে বলছি আপনি না হয় জাতীয়করণে আত্মীকৃত হতে পারবেন না, আপনার সন্তান তো মানসম্মত সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পাবে। দেখুন ঐ ধরনের দাস বাবু কারাঃ ——

১) যারা SMC/GB ম্যনেজ করে চাকুরী নিয়েছেন।
২) যারা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে স্যলুট দিয়ে ফায়দা নেন।
৩) যারা প্রতিষ্ঠানে আবাসিক সুবিধা ভোগ করেন।
৪) যারা জেলা ও বিভাগীয় শহরগুলোতে আছেন।
৫) যারা প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব সম্পদ মনে করেন।
৬) যাদের একাধিক তৃতীয় বিভাগ।
৭) যারা আর্থিক অনিয়মে জড়িত।
৮) যাদের নিয়োগে ঝামেলা আছে।
৯) যারা এলাকা ছাড়তে চান না।
১০) যাদের সনদে সমস্যা আছে।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ! তাই দয়া করে আপনার স্বর্ণালী সময়কে স্মরণীয়-বরণীয় করে রাখতে একটি সুখী-সমৃদ্ধ, শোষণহীন, বৈষম্যহীন ও ভারসাম্যপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে টিউশন ফিস সরকারী কোষাগারে জমা নিয়ে অনতিবিলম্বে একযোগে ‘শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ’ করবেন বলে আমরা আশাবাদী।

ড. মোঃ শরিফুল ইসলাম
গবেষক ও কলামিস্ট, সিলেট।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২২/০৩/২০২৫


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading