নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ সমালোচনার মুখে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসানকে সরিয়ে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। অবসরোত্তর ছুটিতে যাওয়ার সুবিধার্থে তাকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিবার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো: মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসানকে পিআরএলে গমনের সুবিধার্থে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত মাউশির বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হলো।
জানা যায়, চাকরির বয়সসীমা শেষ হওয়ায় রবিবার আওয়ামী লীগপন্থি এ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তার পিআরএলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চেয়ারম্যান পদে আঁকড়ে থাকতে কয়েক মাস ধরে তদবির করছিলেন তিনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে আরও তিনমাস চেয়ারম্যান পদে রাখার সব বন্দোবস্তও করেছিল। তবে এনসিটিবি কর্মকর্তা ও অভিভাবকদের ক্ষোভ এবং গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে মন্ত্রণালয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৫ মার্চ এনসিটিবিতে সদস্য (প্রাথমিক) পদ পান অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান। ডা. দীপু মনির সময়েও তিনি সাড়ে চার বছর এ পদে চাকরি করেন। পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম ও সদস্য অধ্যাপক মশিউজ্জামানের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ানোয় ২০২৩ সালে এপ্রিল মাসে তাকে ওএসডি করা হয়। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে তদবির করে তিনি নিজেকে ‘বৈষম্যের শিকার’ দাবি করে এনসিটিবির চেয়ারম্যান পদ বাগিয়ে নেন।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৬/০১/২০২৫
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.