এইমাত্র পাওয়া

‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে থেমে থাকা পরীক্ষাগুলো দ্রুতগতিতে আয়োজন করা হবে’

গাজীপুরঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম আমানুল্লাহ বলেছেন, শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। আপনারা অনেক পেশা রেখে শিক্ষকতা পেশায় নিজেদের নিয়োজিত করেছেন নীতি নৈতিকতার স্বার্থে, সমাজের স্বার্থে ও দেশের স্বার্থে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (সিইডিপি) এর আওতায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে অধিভুক্ত কলেজের স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক প্রশিক্ষণার্থীদের (৩৩ থেকে ৩৬তম ব্যাচ) হাতে সনদপত্র ও ট্যাব বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। 

উপাচার্য বলেন, ২০২৫ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে থেমে থাকা পরীক্ষাগুলো দ্রুতগতিতে আয়োজন করা হবে। যাতে নভেম্বর-ডিসেম্বর নাগাদ সেশন জট প্রায় ৮০ ভাগ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসে উপস্থিতির হার বাড়ানো হবে। এসাইনমেন্ট এবং ইনকোর্সগুলোকে মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হবে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং কলেজের লাইব্রেরীগুলোতে পর্যাপ্ত রেফারেন্স বইয়ের উপস্থিতি নিশ্চিতকরা হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে ২০২৫ সালে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য আরো বলেন, শুধুমাত্র গতানুগতিক বিষয়সমূহে পড়াশোনা করে ডিগ্রি অর্জনে আমরা বিশ্বাসী নই। তাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কোর্সের সাথে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর আইসিটি, সফট স্কিল এবং হার্ড স্কিল শিক্ষা বাধ্যতামূলকভাবে অর্জন করতে হবে। যাতে শুধুমাত্র দেশেই নয়, দেশের বাইরেও সুনামের সাথে কাজ করতে পারে। আমি বিশ্বাস করি এই লক্ষ্য অর্জনে আপনারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন।

তিনি আরও বলেন, ‌‌‘মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ, জার্নাল প্রকাশের ব্যবস্থা, গবেষণার সুযোগ তৈরি, শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো ক্লাস রুম, সাউন্ড সিস্টেম, ইন্টারনেট ব্যবস্থা ইত্যাদি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ সকল সুযোগ সুবিধা প্রণয়নে সার্বিক সহযোগিতা করবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, শিক্ষকরাই হলো জাতি গঠনের মূল চালিকা শক্তি। আমরা আপনাদের জন্য সিইডিপি এর দ্বিতীয় প্রজেক্ট খুব শীঘ্রই শুরু করতে যাচ্ছি। যাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সকল কলেজের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও অন্যান্য কাজের সাথে সম্পৃক্ত করে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন করতে পারে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. নূরুল ইসলাম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রশিক্ষণ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সালমা পারভীন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৯/০১/২০২৫


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading