নিজস্ব প্রতিবেদক।।ভারতের কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে ভিসাসেবা সীমিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও এ নিয়ে কোনো বক্তব্য দেননি কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তারা। তবে কাঙ্ক্ষিত ভিসা না পাওয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আবেদনকারীরা।
গত ২ ডিসেম্বর ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে দুবৃত্তদের হামলা ও ভাঙচুরের পর সেখানে সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত করে বাংলাদেশ সরকার। বন্ধ করে দেওয়া হয় ভারতীয়দের ভিসা দেওয়ার সব ধরনের প্রক্রিয়া। তবে দিল্লি বা আসাম মিশনের ক্ষেত্রে এমন কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, কলকাতা ও ত্রিপুরার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দিল্লি ও আসামের ক্ষেত্রেও একই রকমের নির্দেশনা আসতে পারে।
এর আগে গত বুধবার এক সংক্ষিপ্ত নোটিশে ত্রিপুরার সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ ও কলকাতার ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি হাইকমিশনার সিকদার মো. আশরাফুল রহমানকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকায় ফেরার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে করে অনেকটা শূন্য হয়ে পড়েছে কলকাতা ও ত্রিপুরার হাইকমিশন। ফলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার এবং ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে সরাসরি বাংলাদেশ সরকারের যোগাযোগের জন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কেউ নেই সেখানে। তবে শবাব বিন আহমেদকে (মিনিস্টার (স্থানীয়) বাংলাদেশ দূতাবাস দ্য হেগ) কলকাতায় যোগদানের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা। তবে তার যোগদানে বেশ কিছুটা সময় লাগবে।
বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতীয় গণমাধ্যমে সাম্প্রদায়িক অপপ্রচারের প্রেক্ষাপটে গত ২ ডিসেম্বর ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা চালায় হিন্দুত্ববাদী সমিতির সদস্যরা। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে হামলা করে এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলে ও ছিঁড়ে দেয়। পরে ভবনের সামনে থাকা সাইনবোর্ড ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। অন্যদিকে মুম্বাই ও কলকাতা হাইকমিশনের বাইরেও বিক্ষোভ ও লাল-সবুজের পতাকা অবমাননা করে হিন্দুত্ববাদীরা।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.