এইমাত্র পাওয়া

কোনো নিয়মই মানা হয়নি টি এন্ড টি কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগে তবুও এমপিওভুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ রাজধানীর মতিঝিলের টি এন্ড টি কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগে ‘মহাজালিয়াতির’ অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগে করা তদন্তেও জালিয়াতি করে নিয়োগ পাওয়া অধ্যক্ষের পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে সেই প্রতিবেদনের আলোকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। মহাজালিয়াতি করে নিয়োগ পাওয়া ঐ অধ্যক্ষ হচ্ছেন মো. নুর হোসেন। এর আগে মো. নুর হোসেন মোহাম্মদপুরের পাইওনিয়ার কলেজের (পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে শেখ বজলুর রহমান কলেজ)  অধ্যক্ষ ছিলেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখে শূন্যপদের বিপরীতে একজন অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে টি এন্ড টি কলেজ কর্তৃপক্ষ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ পরিপত্র/প্রজ্ঞাপন মোতাবেক টি এন্ড টি কলেজে শূন্যপদে ১ জন অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ২২ মার্চ ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। 

প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, অধ্যক্ষ নিয়োগে কলেজ কর্তৃপক্ষ মোট ০৯টি ব্যাংক ড্রাফট ব্যাংকে জমা প্রদান করেন এবং কলেজ থেকে ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো তালিকা অনুযায়ী মোট আবেদনকারী প্রার্থী দেখানো হয় ৮ জনকে। এই আটজনের মধ্যে পরীক্ষা শুরুর ঠিক পূর্ব মুহুর্তে প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন গভর্নিং বডির সভাপতি ইঞ্জিয়ার আবু তালেব (টি এন্ড টি বোর্ডের ইঞ্জিয়ার) দুই জন বৈধ প্রার্থীকে বাদ দিয়ে ছয়জন প্রার্থীকে রাখেন। বাদ দেওয়া এই দুইজন প্রার্থীর মধ্যে একজন প্রার্থী মাউশির মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। তবে সে অভিযোগ আমলে নেয়নি মাউশি। 

এই ছয় জন প্রার্থীর মধ্যে দুই জন প্রার্থী পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকেন এবং ছয় জনের মধ্যে  তিন জন প্রার্থীর বয়স ৫৫ বছর অতিক্রম করেছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের চাকুরীর শর্তাবলী রেগুলেশন (সংশোধিত) ২০১৯ অনুযায়ী, “৫৫ বছর অতিক্রম করা কোন প্রার্থী স্থায়ী নিয়োগ লাভ করতে পারবে না” মর্মে উল্লেখ রয়েছে।  নিয়োগ বোর্ডে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের প্রতিনিধি মনোনয়ন চিঠিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়, ‘অধ্যক্ষ পদে আবেদনকারী প্রার্থীদের মধ্যে যারা “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের চাকুরীর শর্তাবলী রেগুলেশন (সংশোধিত) ২০১৯” মোতাবেক শর্ত পূরণ করেনি তাদেরকে প্রবেশপত্র প্রদান করা যাবে না।’

নিয়োগ পরীক্ষায় কলেজ কর্তৃপক্ষের করা ছয় জন বৈধ প্রার্থীর মধ্যে তালিকার এক নম্বরে থাকা আবদুল মালেক মিয়ার বয়স ৫৬ বছর নয় মাস ১১ দিন, দুই নম্বরে থাকা মো. মোনতাজ উদ্দিন এর বয়স ৫৭ বছর ৫ মাস ২৫ দিন, চার নম্বর তালিকায় থাকা প্রার্থী হারুন অর রশীদের বয়স ৫৬ বছর ১০ মাস ২২ দিন। দুই জন প্রার্থী পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকেন (যারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরীক্ষায় কোরাম পূরণের জন্য আবেদন করে)।  বাকি চার জন প্রার্থীর মধ্যে দুই জন প্রার্থীর  বয়স ৫৫ বছর অতিক্রম করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সর্বশেষ ১০ জানুয়ারী ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দের পরিপত্র অনুযায়ী, “নিয়োগ পরীক্ষায় প্রত্যেক পদের বিপরীতে কমপক্ষে তিন জন বৈধ প্রার্থী থাকতে হবে। প্রার্থী তিন জনের কম হলে সংশ্লিষ্ট পদে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ না করে পুনঃবিজ্ঞপ্তি দিতে হবে।”  কিন্তু টি এন্ড টি কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফলে শীটের ছয় প্রার্থীর মধ্যে বৈধ প্রার্থী মাত্র দুই জন। নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ না দিয়ে পুনঃবিজ্ঞপ্তি দেওয়ার কথা থাকলেও তা না করে মোটা অংকের অর্থের মাধ্যমে মো. নুর হোসেনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। 

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সর্বশেষ ১০ জানুয়ারী ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দের পরিপত্র অনুযায়ী, “অধ্যক্ষ পদে লিখিত পরীক্ষার ৪০ শতাংশ নম্বর পেলেই আবেদনকারী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে মর্মে বিবেচিত হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।” কিন্তু টি এন্ড টি কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় ৪০ শতাংশ নম্বরের কম পেয়ে অর্থ্যাৎ লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েও এক প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে এবং তিনি ৩য় স্থান অর্জন করেছেন। আরেক প্রার্থী হারুন অর রশীদ তিনিও লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলেও তাকে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখানো হয়েছে।  পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও ফলাফল শীটে দুই প্রার্থীর নম্বর দেওয়া হয়েছে। 

এছাড়াও ঢাকা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মাঈন উদ্দিন আবেদন করলেও তার আবেদন গায়েব করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে এবং ৬ জানুয়ারী ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে দুই বার অত্র কলেজে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু কোনো যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। যেখানে বর্তমান নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ নূর হোসেন দুই বার পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছিলেন। আগের দুইবারই তিনি অযোগ্য হলেও এবার সকল নিয়ম নীতি ও পরিপত্রকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে তাকেই যোগ্য দেখিয়ে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 

অবৈধ গভর্নিং বডির সভাপতি কর্তৃক অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ আয়োজন করা হয়েছে। জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কোন বেসরকারি কলেজ যদি কোন সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত হয় সেক্ষেত্রে গভর্নিং বডির সভাপতি পদে ঐ সংস্থা কর্তৃক লিখিতসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেওয়ার শর্ত উল্লেখ রয়েছে। টি এন্ড টি কলেজ বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) কর্তৃক পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। বিটিসিএল এর এডিশনাল ডাইরেক্টর জেনারেল হিসেবে সভাপতি আবু তালেব ২০১৬ সালে কলেজটির সভাপতি নির্বাচিত হন। এবং ২০২০ সালে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হয়ে অবসরে চলে যান তিনি। নিয়ম অনুযায়ী অবসরে গেলে এই পদে থাকার কোন বৈধতা না থাকলেও তথ্য গোপন করে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তবে এই কমিটির মেয়াদ ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে শেষ হলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে অবহিত না করে ৩০ জানুয়ারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি কর্তৃক ২২ মার্চ ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ পরিপত্র/প্রজ্ঞাপন মোতাবেক বেসরকারি কলেজে এনটিআরসিএর প্রবেশ পর্যায়ের পদ বাদে নিয়োগে বৈধ কমিটি অবশ্যই থাকতে হবে। শুধু তাই নয় গভর্নিং বডির সভাপতি আবু তালে পতিত হাসিনা সরকারকে রক্ষা করার জন্য হাসিনা সরকারের পলায়নের ঠিক দুই দিন আগে ৩ আগস্ট ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দে পেশাজীবীদের গণভবনের বৈঠকে প্রথম সারির চেয়ারে বসে ছিলেন। বর্তমানে পলাতক থাকলেও তাঁর কর্তৃক নিয়োগের বৈধতা দিয়ে তাকে এমপিওভুক্ত করেছেন মাউশির আওয়ামী ফ্যাসিবাদী একটি চক্র। 

নিয়োগ জালিয়াতির এই মহা অনিয়ম নিয়ে টি এন্ড টি কলেজের ৯ জন শিক্ষক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে মাউশি মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. হুমায়ুন কবিরকে তদন্তকারী কর্মকর্তা মনোনীত করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দে সরেজমিনে তদন্তে যান এবং তদন্ত করেন। তদন্তে তিনি উল্টো অভিযোগকারীদেরকেই জেরা করে অধ্যক্ষ নূর হোসেনের পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন এবং এই প্রতিবেদনের আলোকে গত ৬ নভেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দে মাউশি  নুর হোসেনের এমপিওভুক্তিতে মাউশির ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক মনোয়ার হোসেনকে নির্দেশ প্রদান করেন। মাউশির ঢাকা আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে গত ১৪ ডিসেম্বর তার এমপিওভুক্ত করে চূড়ান্তকরণের জন্য মাউশিতে প্রেরণ করে। মাউশি অধ্যক্ষ নূর হোসেনের এমপিও চূড়ান্ত করে।  তবে তদন্তে অধ্যক্ষের পক্ষ নিয়ে তদন্ত করা হয়েছে মর্মে পুনঃতদন্তের আবেদন করলেও তা আর কর্ণপাত করেনি মাউশি। 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মহাজালিয়াতি করে নিয়োগ পাওয়া অধ্যক্ষ নুর হোসেন শিক্ষাবার্তা’কে বলেন, “নিয়োগ পরীক্ষা বিধি মেনে হয়েছে, বৈধ পরীক্ষার্থী চারজন ছিল। আমার কাছে পরিপত্র আছে সেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যারা ইনডেক্স ধারী তাদের বয়সের কোন বাধা নেই”।  

উল্লেখ্য, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দে প্রকাশিত “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের চাকুরীর শর্তাবলী রেগুলেশন (সংশোধিত) ২০১৯” এর সর্বশেষ বিধি অনুযায়ী, অধ্যক্ষ নুর হোসেন ইনডেক্স ধারী সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছে তা সঠিক নয়।  প্রজ্ঞাপন দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

নিয়োগে এত অনিয়ম থাকলেও কিভাবে তদন্ত প্রতিবেদন অধ্যক্ষ নুর হোসেনের পক্ষে গেলো জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. হুমায়ুন কবির শিক্ষাবার্তা’কে বলেন, “কলেজে আমরা কাগজ পত্র যেভাবে পেয়েছি সেভাবেই প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে”। 

অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্যের হোতা পতিত হাসিনা সরকারের দোসর টি এন্ড টি কলেজের গভর্নিং বডির তৎকালীন সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবু তালেবের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় এবং বর্তমান তিনি পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র মোতাবেক নিয়োগ না হলেও কিভাবে নুর হোসেনকে অধ্যক্ষ নিয়োগের সুপারিশ করলেন জানতে চাইলে নিয়োগ বোর্ডে মাউশি ডিজি প্রতিনিধি তৎকালীন রাজধানীর সবুজবাগ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শামিম আরা বেগম শিক্ষাবার্তা’কে বলেন, “অধ্যক্ষ নিয়োগের সময় আমরা যারা নিয়োগ কমিটিতে প্রতিনিধি ছিলাম আমার জানা মতে নিয়োগে কোন ভুল থাকার কথা না”।

নিয়োগ বোর্ডে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৎকালীন চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ। যিনি পতিত শেখ হাসিনা সরকারের একান্ত সহযোগী ছিলেন। আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল থেকে নির্বাচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ছিলেন।  গত ২২ আগস্ট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে আইন বিভাগের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন। টি এন্ড টি কলেজের এক অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষা হয় তিন বার। এই তিনবারই নিয়োগ বোর্ডে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত হন। নিয়োগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি না মেনে নিয়োগ দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলেতাঁর মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীমের মুঠোফোনে কল করে ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও বক্তব্য নিতে না পারলে মাউশিতে তাঁর কার্যালয়ে গিয়েও তাকে না পাওয়ায় বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। 

এ বিষয়ে শিক্ষক-কর্মচারীর ঐক্যজোটের সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শিক্ষক নেতা  অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া শিক্ষাবার্তা’কে বলেন, “পতিত হাসিনা সরকারের একান্ত সহযোগী কলেজটির সভাপতি আবু তালেব কর্তৃক মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এবং সম্পূর্ণ অনিয়ম করে এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতকিছুর পরেও তিনি কিভাবে এমপিওভুক্ত হলেন তা আমার বোধগম্য নয়। শেখ হাসিনা সরকার পতন হলেও তাদের দোসররা এখনও শিক্ষা প্রশাসনে বহাল রয়েছে। তা না হলে এই নিয়োগ বাতিল হওয়ার কথা তা না করে এমপিওভুক্ত করা হলো। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই”।  

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৫/১২/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.