ঢাকাঃ ২০১৫ সালে জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি ১৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত সিন্ডিকেট সভায় এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।
এর ফলে পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে যেতে পারবে। পাকিস্তানের সঙ্গে শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ নানা বিষয়ে বিনিময় করতে পারবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হক বিদিশা বলেন, একটা সময় তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছিল। আমাদের যেহেতু এটা একাডেমিক প্রতিষ্ঠান। ফলে অনেকে স্কলারশিপ নিয়ে কিংবা কনফারেন্সে যোগ দিতে যেতে চায়। সে দৃষ্টিকোণ বিবেচনায় আমরা সভায় আলোচনা করে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর জরুরি সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত শেষে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছিলেন, পাকিস্তান ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত্রি থেকে শুরু করে দীর্ঘ ৯ মাস ধরে এ দেশে বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা চালিয়ে তারা অস্বীকার করেছে। এমন মিথ্যাচার রাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাখতে পারে না। যতদিন পর্যন্ত তারা গণহত্যা, হত্যা ও নির্যাতনের কথা স্বীকার করবে না ততদিন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে এ প্রতিষ্ঠান কোনো ধরনের সম্পর্ক রাখবে না।
‘নতুন করে আমাদের কোনো শিক্ষার্থী পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার জন্য যাবে না। একইভাবে তাদের কোনো ছাত্রও আমরা গ্রহণ করব না’বলেছিলেন তিনি।
সম্প্রতি উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সিন্ডিকেট সভায় সম্পর্ক পুনরায় স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ প্রায় এক দশক পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।
সিন্ডিকেট সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদসহ সিন্ডিকেট সভার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/১১/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.