নাটোরঃ নাটোরে প্রশ্নপত্র দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। আজ সোমবার বেলা ১১টায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মাদ আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত মো. হযরত আলী (৪২) নাটোর সদর উপজেলার বাগরুম গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় বাগরুম ব্রাক শিশু নিকেতনের শিক্ষিকা ফাতেমাতুয জোহরার স্বামী ছিলেন আসামি মো. হযরত আলী।
সেই সূত্রে মেয়েটি শিক্ষিকার স্বামী হযরত আলীর কাছে প্রাইভেট পড়তে যেতো। এ অবস্থায় ২০১৮ সালের ৮ জুলাই বিকেল আনুমানিক ৪:৩০ ঘটিকার সময় মেয়েটি প্রাইভেট পড়ার জন্য আসামির নিকট গেলে সকল ছাত্র-ছাত্রীকে ছুটি দিলেও মেয়েটিকে প্রশ্ন দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে তার নিজ বাসভবনে নিয়ে যায়।
এরপর জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সেই সাথে ভয়-ভীতি দেখানো হয় যেন কাউকে কিছু না বলে। বিষয়টি জানার পর মেয়ের বাবা ১২ জুলাই নাটোর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ মামলাটি তদন্ত অভিযোগপত্র দাখিলের পর শুনানী শেষে বিচারক আসামি হযরত আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন। জরিমানার টাকা ভিকটিমকে দেওয়া হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোর জজ কোর্টের পিপি রুহুল আমিন তালুকদার টগর।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/১১/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.