এইমাত্র পাওয়া

এইচএসসি পুনর্নিরীক্ষণে ঢাকা বোর্ডে জিপিএ-৫ বেড়েছে ২০০

ঢাকাঃ এইচএসসি পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণে ঢাকা বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছেন ১৩৭ জন পরীক্ষার্থী। আর নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২০০ জন পরীক্ষার্থী।

এইচএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে অসন্তুষ্ট হয়ে উত্তরপত্র চ্যালেঞ্জ বা ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছিলেন প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষার্থী। পুনঃনিরীক্ষণের সেই ফল বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) প্রকাশ করা হয়েছে। এতে এক হাজার ৩৩০ শিক্ষার্থীর জিপিএ পরিবর্তন হয়েছে।

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, ফেল থেকে পাস করেছেন ১৩৭ জন। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২০০ জন। আর ফেল থেকে সর্বোচ্চ ফলাফল বলে বিবেচিত জিপিএ-৫ পেয়েছেন একজন শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তপন কুমার সরকার বলেন, গত ১৬ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন জমা নেওয়া হয়। এবার ঢাকা বোর্ডে ৫৯ হাজার ৬৭৮ জন শিক্ষার্থী উত্তরপত্র চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেন। অনেকে একাধিক বিষয় ও পত্রের উত্তরপত্র চ্যালেঞ্জ করেন। সেই হিসাবে মোট ১ লাখ ৮০ হাজার ৬০টি খাতা পুনঃনিরীক্ষণ করা হয়। তাতে ১ হাজার ৩৩০ শিক্ষার্থীর ফলাফলে পরিবর্তন এসেছে।

গত ১৫ অক্টোবর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। প্রথম প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী— ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯২ শতাংশ। এ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৪৯ হাজার ১৯০ জন।

ফল প্রকাশের পরদিন ১৬ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন জমা নেওয়া হয়। তাতে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ড মিলিয়ে ১ লাখ ৯২ হাজার ৪৮০ জন পরীক্ষার্থী ৫ লাখ ১ হাজার ২৯৪টি খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেন।

সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়ে ঢাকা বোর্ডে। আর সবচেয়ে আবেদন কম পড়ে মাদরাসা বোর্ডে। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের এক লাখ ৮৯ হাজার ৭৬৬ শিক্ষার্থী ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৪৮০টি খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেন। আর মাদরাসা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত আলিম পরীক্ষার ৭ হাজার ৮১৪টি খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেন ২ হাজার ৭১৪ জন।

শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, ফল পুনঃনিরীক্ষণে একজন শিক্ষার্থীর লেখা খাতা নতুন করে আবার মূল্যায়ন করা হয় না। চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করলে উত্তরপত্রের চারটি বিষয় দেখা হয়।

সেগুলো হলো—উত্তরপত্রে সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক হয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে তোলা হয়েছে কি না এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কি না। এ চার জায়গায় কোনো ভুল হলে তা সংশোধন করে নতুন করে ফল প্রকাশ করা হয়। 

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৪/১১/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.