এইমাত্র পাওয়া

শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে সরকার

ঢাকাঃ ২০১০ সাল থেকে জানুয়ারির ১ তারিখে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দিয়ে আসছে সরকার। সেই ধারা বজায় রাখতে এবারও শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিন যাতে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার, তবে এক্ষেত্রে বই ছাপাতে সময়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে তাদের।

ন্যাশনাল কারিকুলাম অ্যান্ড টেক্সটবুক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তা ও মুদ্রণ শিল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, শনিবার থেকে মুদ্রণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে, সব ক্লাসের বইয়ের সংশোধন এখনো শেষ হয়নি।

এর আগের বছরগুলোতে সাধারণত বছরের এই সময়ের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা হয়ে যেতো। মুদ্রণ কাজ দেরিতে শুরু হওয়ায় বছরের শেষ নাগাদ চার কোটিরও বেশি শিক্ষার্থীর জন্য ৪০ কোটি কপি বইয়ের সময়মত মুদ্রণ শেষ হওয়া নিয়ে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে। এনসিটিবি কর্মকর্তাদের মতে, এই দেরির বড় কারণ হচ্ছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। তবে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, মুদ্রণ খাত ও অন্যান্য অংশীজনদের পূর্ণ সহযোগিতায় এখনও সময়মত পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ সম্ভব হতে পারে।

এনসিটিবির সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) অধ্যাপক রিয়াদ চৌধুরী বলেন, আমরা পাঠ্যপুস্তক সংশোধন প্রায় শেষ করেছি। প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির পাণ্ডুলিপি প্রেসে পাঠানো হয়েছে। বাকিগুলোও শিগগির পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

সময় মতো বই বিতরণ সম্পর্কে তৈরি সন্দেহ সম্পর্কে তিনি বলেন, জুলাই ও আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে কাজ বন্ধ থাকায় এই চ্যালেঞ্জগুলো তৈরি হয়েছে। তবে সময়মত বই বিতরণ নিশ্চিত করতে আমরা সবার সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছি

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত তিন বছরেও যথাসময়ে বই বিতরণ করা চ্যালেঞ্জ ছিল। ২০২২, ২০২৩ ও চলতি শিক্ষাবর্ষের অষ্টম ও নবম শ্রেণীর তিন কোটিরও বেশি বই যথাসময়ে সরবরাহ করতে পারেনি। শিক্ষার্থীদের সব বইয়ের জন্য মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ প্রক্রিয়ায় দেরি হয়েছিল।

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২০২২ সালে চালু করা পাঠ্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে ২০১২ সালের পাঠ্যক্রমে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের হাতে যে বই যাবে, সেখানে অতিরিক্ত ঐতিহাসিক তথ্য বা কোনো ব্যক্তির অপ্রয়োজনীয় প্রশংসা বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

চলতি শিক্ষাবর্ষের জন্য গত বছর প্রায় ৩১ কোটি পাঠ্যবই ছেপেছে সরকার। তবে, পাঠ্যক্রম পরিবর্তনের কারণে ২০২৫ সালের জন্য বই ছাপতে হবে ৪০ কোটি।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৯/১০/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading