বরিশালঃ বরিশালের গৌরনদী উপজেরার পালরদী উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল এন্ড কলেজ দশম শ্রেণীর নির্বাচনাী (টেস্ট) পরীক্ষার হলে কথা বলার অপরাধে কিলঘুষি ও চড়থাপ্পর দিয়ে মো. জুবায়ের ইসলাম (১৫) নামে এক পরীক্ষার্থীর ডান কানের পর্দা ফাটিয়ে (ফেটে) দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের ইংরেজী শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় জুবায়েরকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জুবায়ের মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার চরপালরদী গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে।
আহত পরীক্ষাথী মো. জুবায়ের ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, গত ২৪ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সকালে ওই বিদ্যালয়ে দশম শ্রেনীর নির্বাচনী (টেস্ট) পরীক্ষার হলে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা চলাকালে পাশের পরীক্ষার্থীর সাথে কথা বলার অভিযোগে দুপুর ১২টার দিকে ইংরেজী স্যার (সাইফুল) আমার পিঠে ২টি কিল ঘুষি ও ডান কানে ২/৩টি চড়থাপ্পর মারে। এতে আমি কানে ব্যাথা অনুভব করতে থাকি এবং কানে খুব কম শুনতে পাচ্ছিলাম। পরীক্ষা শেষে বাড়িতে ফিরে আসলে রাতে কানে প্রচন্ত ব্যাথা অনুভব করি ও কানের ভেতর ফুলে যায় এবং ডান কানে সামান্য শুনতে পাই। আমি মা ও বাবাকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার সকালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বাসায় গিয়ে ঘটনা জানাই। এরপর কানের চিকিৎসা করাতে আমি বাবাকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার দুপুরে ঢাকায় চলে আসি।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন কুমার রায় ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, চিকিৎসার জন্য আহত পরীক্ষার্থী জুবায়েরের সঙ্গে সহকারী শিক্ষক এইচ.এম ইলিয়াসকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত খন্ডকালিন ইংরেজী শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে পরীক্ষার সমস্ত কার্যক্রম থেকে স্থগিত রাখা হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক সাইফুল ইসরাম বলেন, অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আহত পরীক্ষার্থীর চিকিৎসার যাবতীয় খরচ আমি বহন করার আশ্বাস দিয়েছি।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু আব্দুল্লাহ্ খান বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৬/১০/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.