নোয়াখালীঃ অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষসহ চার শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে কমপ্লিট শাটডাউন। এতে একাডেমিক কার্যক্রমসহ কলেজে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) থেকে ক্যাম্পাসটির ভেতরে কেউ ঢুকতে এবং কেউ বের হতেও পারছে না।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় দিনের মতো একই কর্মসুচী বলবৎ ছিল। শিক্ষার্থীরা বলছে, চার শিক্ষক পদত্যাগ না করা পর্যন্ত এই কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে। আর পদত্যাগ না করলে তারা অনশনের মতো কর্মসূচী ঘোষণা করবে।
গত রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে স্বৈরাচার আখ্যা দিয়ে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ জাকির হোসাইন, উপাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন ও সার্জারি বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ কামরুল হোসাইনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি দেয় শিক্ষার্থীরা। এ দাবিতে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচী পালন করে এবং শিক্ষকদের কুশপুত্তলিকা দাহ করে। পরে তারা চার শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়। কিন্তু চার শিক্ষক পদত্যাগ না করায় এবং প্রশাসন নিশ্চুপ থাকায় শিক্ষার্থীরা বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) থেকে কলেজে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করে এবং অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।
নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আনাস বিন ইকবাল বলেন, চার শিক্ষক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। তারা আন্দোলনকে কটাক্ষ করে মন্তব্যও করেছিলেন।
দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কেফায়েত উল্যাহ বলেন, আমাদের দাবি মানা না পর্যন্ত কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে। পদত্যাগ না করলে আরও কঠোর কর্মসুচী দেওয়া হবে।
তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী লুৎফুর বিন আরাফাত বলেন, আমাদের এই শাট ডাউনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা কলেজ ক্যাম্পাসে বিভ্রান্তকর তথ্য ছড়াচ্ছে।
তানজিদ আল নাহিয়ান নামে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বলেন, আমরা শ্রেনী কক্ষে ফিরে যেতে চাই। চার শিক্ষক পদত্যাগ করলে সহজেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
রায়হান তালুকদার নামে প্রথম বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, কয়েকদিন পর পরীক্ষা হওয়ার কথা। কিন্তু শিক্ষকরা আমাদের দাবি মেনে নিচ্ছেন না। তারা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের অচলাবস্থার অবসানও হবে না। ফলে শিক্ষাজীবন নিয়ে শঙ্কিত আমরা।
নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা: কামরুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে নকি অভিযোগ আমি তা জানিনা। শিক্ষার্থীরা কি নিয়ে পদত্যাগের দাবী করছে, সেটাও আমার কাছে বোধগম্য নয়। শিক্ষার্থীরা যে ভাষায় শিক্ষকদের আক্রমন করছে তা অশালীন।
এই বিষয়ে কথা বলার জন্য নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তারা রিসিভ করেননি।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১২/০৯/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.