দুই মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ জেলায় দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহত নাইমা আক্তারের বাবা বিল্লাল মিয়া বাদী হয়ে দুই শিক্ষককে আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের ৭ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

গত ২৭ আগস্ট ভোরে সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রাম থেকে নাইমা আক্তার (১৩) ও মাইমুনা আক্তার (১৬) নামের দুই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মামলায় সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের ময়না বেগম ইসলামিয়া হাফিজিয়া মহিলা মাদ্রাসার দুই শিক্ষক হাফেজ জুনায়েদ খন্দকার (২৮) ও হাফেজ রায়হান খন্দকারসহ (২৬) অজ্ঞাত আরও ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। হাফেজ জুনায়েদ খন্দকার ও হাফেজ রায়হান খন্দকার সদর উপজেলার পয়াগ গ্রামের আব্দুল খায়ের খন্দকারের ছেলে। মামলার পর পর পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে।

মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ময়না বেগম ইসলামিয়া হাফিজিয়া মহিলা মাদ্রাসায় গত ৬ মাস যাবত ও নাইমা আক্তার ২০২১ সাল থেকে মাইমুনা আক্তার পড়াশুনা করে আসছে। অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার পর মাদ্রাসা এক সপ্তাহের জন্যে বন্ধ থাকায় তারা দুজন বাড়িতে চলে যায়। মাদ্রাসা খোলার পর গত ২৩ আগস্ট তাদের দুজনকে যার যার পরিবারের সদস্যরা মাদ্রাসায় এনে শিক্ষকদের কাছে দিয়ে যায়। কিন্তু পরদিন ২৪ আগস্ট সকালে মাদ্রাসা থেকে মোবাইলফোনে কল করে জানানো হয়, নাইমা ও মাইমুনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই খবরে মাদ্রাসায় গিয়ে সিসি টিভি ফুটেজ দেখতে চাইলে তা দেখানো হয়নি। তাদের দুজনকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। এই অবস্থায় গত ২৭ আগস্ট ভোরে সাদেকপুরে নাইমা ও মাইমুনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের পর দুজনের স্পর্শকাতর স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। মরদেহের অবস্থা ও বর্ণিত আলামতের প্রেক্ষিতে বাদী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে দুই শিক্ষক সহোদর হাফেজ জুনায়েদ খন্দকার ও হাফেজ রায়হান খন্দকার ধর্ষণের পর হত্যা করেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘হত্যা মামলার পর মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুজনকে আদালতে পাঠিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।’

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/৩০/০৮/২০২৪