নিজস্ব প্রতিবেদক।।
সরকারিকৃত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক ও কর্মচারী বিধিমালা ২০২৪ এর রুল ১০ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে সে হাইকোর্ট রুল জারি করেছে।
একই সাথে কেন বিবাদীদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হবে না যে স্বীকৃত হাই স্কুলের সরকারি কৃত শিক্ষকদের বেতন পূর্বের নবম গ্রেড কেন করা হবে না মর্মে বিবাদীদের কে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
হাই স্কুলের শিক্ষকদের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া মহামান্য হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই রুল জারি করেছেন।
একই সাথে সরকারি কৃত হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের বেতন থেকে কোন অর্থ কর্তন এবং ফেরত প্রদানের উপরের নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছেন।
উক্ত আদেশের পরে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, সরকার ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় তিন শতাধিক হাই স্কুলকে সরকারিকরণ করার আওতায় সরকারি ক্রন করে জাতীয়করণকৃত হাইস্কুল গুলোতে কয়েক হাজার সরকারি শিক্ষক রয়েছেন।
যারা নবম গ্রেটে বেতন পেতেন কিন্তু সরকার হাই স্কুলগুলো জাতীয়করণ করার পরে হাইস্কুলে কর্মরত শিক্ষকদের বেতন গ্রেড এক গ্রেট নিচে নির্ধারণ করা হয়।
যা জাতীয়করণের পূর্বের বেতনের চাইতে কম এই বেতন গ্রেড কমে যাওয়ার কারণে আমার রিপিটিশনারগণ সহ সারা দেশের শিক্ষকদের পক্ষে এই রিটপিটিশনটি আমি দাখিল করি।
রিটে আমি সরকারি কৃত মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী আত্মীকরণ বিধিমালা ২০২৪ এর ১০ বিডি চ্যালেঞ্জ করেছি একই সাথে সরকারীকৃত হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষকদের বেতন পূর্বের ন্যায় নবম গ্রেড নির্ধারণ করার জন্য নির্দেশনা চেয়েছি আদালত সন্তুষ্ট হয়ে চার সপ্তাহের রুল দিয়েছেন এবং বেতন থেকে কর্তন এবং অর্থ ফেরত চার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।
এডভোকেট সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া আরো বলেন, কর্তৃপক্ষ সরকারীকৃত সহকারী শিক্ষকদের উপর অন্যায় মূলকভাবে তাদের বেতন কম নির্ধারণ করছে এবং একই সাথে তাদেরকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছে যা বৈষম্যমূলক এবং মৌলিক অধিকার পরিপন্থী।
তিনি আরো বলেন, যে সমস্ত সরকারি শিক্ষকগণ এমপিও থাকাকালীন সময়ে নবম গ্রেড বেতন পেতেন সরকারি হওয়ার পরে তাদের বেতন কমিয়ে দেওয়া বৈষম্য মূলক সরকারি হওয়ার পরে তাদের সুযোগ সুবিধা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আমি মনে করি।
কিন্তু কর্তৃপক্ষ উদাসীনভাবে তাদের অধিকারের প্রতি লক্ষ্য না রেখে অন্যায় মূলকভাবে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে আমি মনে করি রিট পিটিশনটি চূড়ান্ত শুনানি শেষে রিট পিটিশনারগণ ন্যায়বিচার পাবে।
হাইকোর্টের এই আদেশের ফলে আপাতত সারা দেশে সরকারিকৃত হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের বেতন থেকে টাকা কর্তন করতে পারবেনা এবং ফেরত চাইতেও পারবেনা।সরকারি শিক্ষকগণ ন্যায়বিচার পাবে বলে আমি মনে করি।
১৭০ জনের মত রিট পিটিশন দায়ের করেছেন। সকল শিক্ষকের পক্ষে জাহাঙ্গীর আলম, অরুণ কান্তি মজুমদার, আবু তাহের, গোলাম মাহবুব, মোবারক হোসেন হেলাল, লালমনিরহাটের জাবেদ হোসেন, আব্দুল আউয়াল ইমরান চাঁদপুর সহ অনেকে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এ/১৭/৭/২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.