এইমাত্র পাওয়া

সিরাজগঞ্জে বানের পানিতে ৭৮ বিদ্যালয়

সিরাজগঞ্জ: জেলায় যমুনা নদীর পানি বাড়া থেমেছে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। তলিয়ে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, তাঁত কারখানা, রাস্তা-ঘাট ও হাট-বাজার।

পানিতে নিমজ্জিত হচ্ছে ফসল। কাজিপুর, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার কয়েকটি স্থানে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। ৫টি উপজেলায় ১৮ হাজার ৩৮৫টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। প্লাবিত এলাকার লোকজন চরম দূর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন। অনেকে বাঁধ ও উচু স্থান এবং অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন।

সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি) রোজিনা আক্তার জানান, বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এবং ভবনের অভ্যন্তরে বন্যার পানি প্রবেশ করায় রবিবার (৭ জুলাই) সকাল পর্যন্ত জেলায় মোট ৭৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এরমধ্যে ৬১টি প্রাথমিক ও ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর জানান, জেলার ৬ হাজার ৪৯৭ হেক্টর ফসলী জমি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এসব জমির পাট, তিল, কলা, সবজি ও মরিচ প্লাবিত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণে কাজ চলছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, রবিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে নদীর পানি বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার এবং কাজিপুর পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভাঙ্গন প্রবণ এলাকাগুলোতে নজরধারী বাড়ানো হয়েছে। ভাঙনস্থানে বালি ভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান জানান, নদীতীর ও চরাঞ্চলে অবস্থিত জেলার ৫টি উপজেলা কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুরের ৩৪টি ইউনিয়নের ১৮ হাজার ৩৮৫টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সংখ্যা ৮৩ হাজার ১৫২জন। এসব মানুষের জন্য উপজেলায় পর্যায়ে ৯৫ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৫ লাখ সগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ৪০৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৫ লাখ টাকা এবং ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৭/০৭/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading