এইমাত্র পাওয়া

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ, সংঘর্ষে আহত ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটায় পুষ্পকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবক সদস্যদের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের চার জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহতদের সখিপুরস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (১০ জুলাই) এ ঘটনা ঘটে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নুর মোহাম্মাদ গাজী জানান, উপজেলার পুষ্পকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তনিমা পারভীনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে আমিসহ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মনজুরুল মোর্শেদ এবং মমতাজ পারভীন জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করি। বুধবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে এ বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম চলাকালে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং সেখানেই মৃত সোহেল উদ্দীন গাজীর পুত্র মনিরুল গাজী আমাকে মারপিট করে।

পরে এঘটনার জের ধরে প্রধান শিক্ষক তনিমার নির্দেশে সন্ধায় আবারো পুষ্পকাটি গ্রামের রফিকুল গাজীর পুত্র বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী জাহাঙ্গীর আলম রাজু, মৃত সোহেল উদ্দীন গাজীর পুত্র শফিকুল গাজী, তার ভাই রফিকুল গাজী, মনিরুল গাজী এবং নজরুল গাজীর পুত্র মন্টু গাজী সহ কয়েকজন লোক লাটি সোটা নিয়ে আমার পুত্র কুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক এনামুল হোসেন সবুজ, মৃত শেখ আবুল খায়েরের পুত্র মাছুম হোসেন, তার ভাই মামুন হোসেনকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে। তাদের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে লাটিসোটা নিয়ে তারা পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা এনামুল হোসেন সবুজ, মাছুম হোসেন ও মামুন হোসেনকে উদ্ধার করে সখিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

অপরদিকে এঘটনায় শফিকুল গাজী জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তনিমা পারভীনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতসহ কয়েকটি অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নুর মোহাম্মাদ গাজী, সদস্য মনজুরুল মোর্শেদ ও মমতাজ পারভীন। উক্ত অভিযোগের পরিপেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে তাদের সাথে সামন্য বাক বিতন্ড হয়। সন্ধার সময় এ ঘটনার জের ধরে এনামুল হোসেন সবুজ, মাছুম হোসেন ও মামুন হোসেন সহ কয়েক জন আমাদের বাড়ির সামনে এসে আমাদেরকে মারতে থাকে। এসময় স্থানীয়রা ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যায়। তাদের মারপিটের ঘটনায় আমি আহত হয়ে সখিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছি।

পুষ্পকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তনিমা পারভীনের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তাছাড়া তদন্তের ঘটনার সাথে মারামারির কোন সম্পর্ক আছে বলে আমার মনে হয় না।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.