নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ঢাকাসহ পাঁচ জেলায় মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ থাকলেও রাজধানীতে খোলা রয়েছে অনেক স্কুল। এদিকে তীব্র গরমের মধ্যে প্রাথমিক স্কুল খোলা থাকলেও ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একেবারেই কম।
ঈদ ও গরমের টানা ছুটির পর রবিবার থেকে খুলে দেওয়া হয় প্রাথমিকসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে রাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদপ্তরে পরামর্শে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ থাকবে বলে জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও সোমবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল ঘুরে দেখা গেছে, প্রথম দিনের চেয়ে ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম। একদিকে গরমের তীব্রতা, আর অন্যদিকে স্কুল বন্ধের নির্দেশনায় বিভ্রান্ত হয়ে এমন পরিস্থিতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
মাধ্যমিক স্কুল বন্ধের নির্দেশ দেয়া হলেও, অনেক অভিভাবক মনে করেন সব স্কুলই বন্ধ। তাই বিভ্রান্ত হয়ে শিশুদের স্কুলে পাঠাননি বলেও জানান শিক্ষকরা।
এদিকে রাজধানীতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অনেক স্কুল খোলা রয়েছে। তবে প্রচণ্ড গরমের কারণে সন্তানদের নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। শিশুদের স্কুলে পাঠালেও, গরমে সুস্থ থাকতে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
সোমবার অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশের দেশের ওপর দিয়ে বয়ে চলা মাঝারি থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ থাকবে আরো কয়েকদিন। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে কয়েকদিন মাঝারি বৃষ্টিপাতে হতে পারে।
বৃষ্টিপাতের পর আবারো তাপপ্রবাহ ফিরে আসবে। সে সময় ৩৬ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা হতে পারে। কোথাও কোথাও ৪০ ডিগ্রির বেশি হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে দীর্ঘসময় ধরে চলা তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। হিট স্ট্রোকে প্রায় প্রতিদিনই মৃত্যুর খবর আসছে। গরমে নানা রোগেই আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ, দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে। বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিয়েছে পানি সংকট।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৯/০৪/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.