নিউজ ডেস্ক।।
প্রাইম ব্যাংক স্কুল ক্রিকেট: প্রতিভা অন্বেষণের সঙ্গে শিক্ষাবৃত্তি
হৃদয় হোসেন। ঢাকা মেট্রোর ডানহাতি ব্যাটসম্যান। উইলিস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের এই শিক্ষার্থী পেয়েছেন প্রাইম ব্যাংক স্কুল ক্রিকেটের শিক্ষাবৃত্তি। শুধু হৃদয় নয়, বাংলাদেশের আরো ১৪, সব মিলিয়ে ১৫ ক্রিকেটারকে শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। যাদেরকে বেশ কয়েক ধাপে বাছাই করেছেন বিসিবির জুনিয়র নির্বাচকরা।
২০২২-২৩ মৌসুমের প্রাইম ব্যাংক স্কুল ক্রিকেটের দেশ সেরা ১৫ ক্রিকেটারের হাতে শিক্ষাবৃত্তির অর্থ (৬০ হাজার টাকা) তুলে দেন প্রাইম ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম এ. চৌধুরী। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন বিসিবির পরিচালক ও গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন ও পরিচালক ফাহিম সিনহা।
দেশীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বৃহৎ আয়োজন জাতীয় স্কুল ক্রিকেটের সঙ্গে ২০১৫ সাল থেকে জড়িয়ে আছে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড। প্রতি বছর সারা দেশের প্রায় ১২ হাজার ক্ষুদে ক্রিকেটার অংশ নেয় এই ক্রিকেট আসরে। দেশের ৩৫২ স্কুলের অংশগ্রহণে এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে জেলা পর্যায়ের ৫৭৯ ম্যাচ। জেলা চ্যাম্পিয়নরা এবার অংশ নেবে বিভাগীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে। বিভাগীয় পর্যায়ের ৫৭ ম্যাচ শেষে ৭ বিভাগের চ্যাম্পিয়ন দল অংশ নেবে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে।
স্কুল ক্রিকেট দিয়ে এরই মধ্যে জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেটে উঠে এসেছে অনেক ক্রিকেটার। এক সময়ে নির্মাণ স্কুল ক্রিকেট ছিল ক্রিকেটার অন্বেষণের একমাত্র জায়গা। এখন প্রাইম ব্যাংক সেই কাজটা করে যাচ্ছে। এজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ দিয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
‘স্কুল ক্রিকেটে অনেক প্রতিভা আছে। তাদেরকে আমরা তুলে এনে পরিচর্যা করি। কোনো বছর পাঁচজন। কোনো বছর চারজন খেলোয়াড়কে আমরা বয়সভিত্তিক দলে পাচ্ছি। সুযোগ পাচ্ছে তারা খেলার। এছাড়া বাকিরা কিন্তু বিভাগীয় দলগুলোতে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে খেলছে।’ – বলেছেন খালেদ মাহমুদ।
প্রাইম ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম এ. চৌধুরী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটের পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে বিসিবির উদ্যোগের পাশে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত। প্রাইম ব্যাংক স্কুল ক্রিকেটের অনেকেই এখন জাতীয় পর্যায়ে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে। অনেকেই পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ক্রিকেটের পাশাপাশি সেরা ক্রিকেটাররা যেনো পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন সেই কারণেই শিক্ষা বৃত্তি চালু করা হয়েছে।’