যশোরঃ দৈনিক নয়া দিগন্তের যশোর অফিসের স্টাফ রিপোর্টার এম. আইউবের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক সমীর কুমার কুণ্ডুর পিয়ন দাউদ হোসেনকে শোকজ করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে তাকে শোকজের জবাব দিতে বলেছেন বোর্ডের সচিব প্রফেসর এম আব্দুর রহিম। শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে ওই দফতর থেকে প্রত্যাহারসহ তার বিরুদ্ধে অন্যান্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, সাংবাদিক এম. আইউব রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলেজ পরিদর্শক সমীর কুমার কুণ্ডর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে একটি তথ্য নিতে শিক্ষা বোর্ডে যান। সেখানে যাওয়ার পর কলেজ পরিদর্শককে না পেয়ে তাকে ফোন করেন তিনি। কলেজ পরিদর্শক তাকে তার রুমে বসতে বলেন। অথচ পিয়ন দাউদ হোসেন সেখানে তাকে বসতে দিতে রাজি ছিলেন না। এমনকি তাকে বের করে দিয়ে রুমে তালা দেয়ার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দাউদ হোসেন মারমুখি এবং অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। তিনি সাংবাদিক এম. আইউবকে টেনেহেঁচড়ে পাঁচতলার ছাদ থেকে ফেলে দেয়ার চেষ্টা চালান।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার সাথে সাথে যশোরের অর্ধশতাধিক সাংবাদিক শিক্ষা বোর্ডে ছুটে যান। অবস্থা বেগতিক দেখে ঘটনাস্থলে আসেন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সচিব এম আব্দুর রহিম। তার সাথে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহীন আহম্মদ, কলেজ পরিদর্শক সমীর কুমার কুণ্ডু, কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসানসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যালয় পরিদর্শক সিরাজুল ইসলামের দফতরে তাৎক্ষণিক সমঝোতা বৈঠকে বসেন তারা। ওইসময় প্রেসক্লাব যশোরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওহাবুজ্জামান ঝন্টু, সহসভাপতি নূর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলনসহ ব্যাপক সংখ্যক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত ছিলেন দৈনিক গ্রামের কাগজের পক্ষে নির্বাহী সম্পাদক আসাদ আসাদুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি দেওয়ান মোর্শেদ আলম, অনলাইন এডিটর জাহিদ আহমেদ লিটন, সিনিয়র রিপোর্টার ফয়সল ইসলাম, প্রধান ফটো সাংবাদিক এমএ মানিক, ফটো সাংবাদিক নুর ইমাম বাবুল ও সাজ্জাদুল কবীর মিটন, স্টাফ রিপোর্টার শিমুল ভুঁইয়া প্রমুখ। বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনায় পিয়ন দাউদ হোসেনের অপরাধ এবং কলেজ পরিদর্শক সমীর কুমার কুণ্ডুর নির্লিপ্ততার প্রমাণ মেলে। এরপর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জড়িত দাউদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, জড়িত ব্যক্তিকে ওই দফতর থেকে প্রত্যাহার করে তার বিরুদ্ধে অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক দাউদ হোসেনকে শোকজ করা হয়েছে। তাকে তিন দিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে। ওইদিন চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান হাবীব ঢাকায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি মিটিংয়ে থাকায় ফোনে সবার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন। অপরাধীকে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না বলে সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৩/০৪/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.