নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে সাধারণ ক্লাস অনলাইনে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মেডিকেল কলেজগুলোর অধ্যক্ষদের সঙ্গে কথা বলেছি। সেখানে শিক্ষার্থীরা কীভাবে থাকছে, তাদের হোস্টেলে কী অবস্থা- সে বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাদের সাধারণ ক্লাসগুলো অনলাইনে হবে। তবে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে রোগীদের এনে ক্লিনিক্যাল ক্লাসগুলো নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘রোগীদের বিষয়ে সারাদেশের হাসপাতালগুলোর পরিচালক ও সিভিল সার্জনদের সঙ্গে কথা বলেছি। সব হাসপাতালে নির্দেশ দিয়েছি, আপাতত অপারেশন না করলেও চলে— এমন রোগীদের ভর্তি না নিয়ে হাসপাতাল খালি রাখতে, যাতে শিশু ও বয়স্করা, যারা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে, তারা সুযোগ পায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনার সময় ডিএনসিসির যে হাসপাতাল ছিল, তা আমরা প্রস্তুত রেখেছিলাম। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা তা ব্যবহার করব। এমন আবহাওয়া সমস্যা দ্রুত শেষ হয়ে যাবে আশা করছি, এটা সাময়িক। তাই এ সময়টায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এর আগে রবিবার (২১ এপ্রিল) তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের সব হাসপাতাল প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। একই সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে জরুরি রোগী ছাড়া ভর্তি না করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। এই রোগী ব্যবস্থাপনায় নতুন নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে এবং হাসপাতালগুলোতে এ নীতিমালা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। স্যালাইন ও ওষুধ পর্যাপ্ত মজুত আছে। দাবদাহের কারণে কোল্ড কেস (যাদের এখন ভর্তি হওয়ার দরকার নেই) রোগীদের এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি না করা ও এখনই অস্ত্রোপচার প্রয়োজন নয়— এমন রোগী হাসপাতালে না রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলো প্রতিকূল পরিবেশের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
গরমে বাচ্চা ও বয়স্কদের প্রয়োজন ছাড়া বাসার বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হবে। আমরা বাচ্চাদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলব না। গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি এবং অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ওরাল স্যালাইনের কোথাও কোনো ঘাটতি হলে যেন আমাকে সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয়। এখন পর্যন্ত আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। প্রকৃতির সঙ্গে তো আমাদের কারও হাত নেই। এটা আমাদের রেডি রাখতে হবে।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২২/০৪/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.