এইমাত্র পাওয়া

খোলা মাঠে ঈদের নামাজ কেন পড়া হয়?

ঢাকাঃ  আল্লাহতায়ালা মুসলিমদের দুটি ঈদ দান করেছেন। একটি ঈদুল ফিতর আরেকটি ঈদুল আজহা। মুসলিমদের ঈদ ও উৎসব অন্যান্য জাতি-গোষ্ঠীর উৎসব থেকে ব্যতিক্রম এবং অনন্য বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। আল্লাহর জিকির ও তার বড়ত্বের ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হয় মুসলিমদের ঈদ। ঈদের দিনে মুসলিমদের প্রথম ও প্রধান আমল হলো ঈদের নামাজ আদায়।

ইসলামের দৃষ্টিতে ঈদের নামাজের একটি সামাজিক গুরুত্বও রয়েছে। ইসলামের নবী মুহাম্মদ অনুসারীদের বলতেন, ঈদের নামাজে আসার সময় যার কাছে যা কিছু সর্বোত্তম কাপড় আছে সেটি পরিধান করে নামাজে আসার জন্য।

মুহাম্মদ (স.) মসজিদের পরিবর্তে খোলা ময়দানে ঈদের নামাজ পড়তে পছন্দ করতেন। এর একটি বড় কারণ ছিল, এই নামাজের মাধ্যমে ইসলামের প্রতীক জোরালোভাবে তুলে ধরা। এজন্য তিনি নারীদেরও ঈদের নামাজে যোগ দেওয়ার জন্য বলেছিলেন।

ঈদের নামাজ ঈদগাহে ও খোলা মাঠে পড়া সুন্নত। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) এবং খোলাফায়ে রাশেদিন সবাই ঈদের নামাজ ঈদগাহে পড়তেন। হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন (ঈদের নামাজের জন্য) ঈদগাহে যেতেন। -সহিহ বোখারি : ৯৬৫

হজরত আলী (রা.) বলেন, দুই ঈদে (ঈদের নামাজের জন্য) খোলা মাঠে যাওয়া সুন্নত। -আল মুজামুল আওসাত : ৪০৪০

মাঠে ঈদের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা থাকলে বিনা প্রয়োজনে মসজিদে ঈদের জামাত করবে না। তবে কোথাও বিনা প্রয়োজনে এমনটি করা হলে ঈদের নামাজ আদায় হয়ে যাবে।

প্রকাশ থাকে যে, বর্তমানে শহরে ঈদগাহ কম, তাই অধিকাংশ মসজিদে ঈদের জামাত হয়। জায়গা সংকুলান না হওয়া বা বৃষ্টি ইত্যাদির কারণে মসজিদে ঈদের নামাজ পড়লে সুন্নতের খেলাফ হবে না। ওজরের সময় মসজিদে পড়া হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোনো এক ঈদের দিন বৃষ্টি তাদের পেয়ে বসে। ফলে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবিদের নিয়ে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন। -সুনানে

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১১/০৪/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.