নিউজ ডেস্ক।।
সুপ্রিমকোর্ট বারে বিএনপিরপন্থি আইনজীবীদের দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব এখন চরমে। দলীয় ফোরামের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। পাশাপাশি নিজ প্যানেলের এক প্রার্থীকে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ে ইন্ধনদাতা হিসেবেও উল্লেখ করেছেন তিনি। তবে পাল্টা অভিযোগ করে সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, চেয়ারের লোভে সব অনিয়মের বৈধতা দিচ্ছেন মাহবুব উদ্দিন।
হট্টগোল, মারামারি, ব্যালটবাক্স সরানোসহ ঘটনাবহুল নির্বাচনের এক মাস পর দায়িত্বগ্রহণ করল সুপ্রিমকোর্ট বারের নবনির্বাচিত কমিটি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপিপন্থি প্যানেলের সভাপতি মাহবুব উদ্দিন খোকন ও আওয়ামী সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হকের কাছ দায়িত্ব হস্তান্তর করে সাবেক কমিটি।
মাহবুব উদ্দিন খোকনকে সভাপতির দায়িত্ব নিতে নিষেধ করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এ নিয়ে ক্ষোভ জানান তিনি। দাবি করেন, ৯ মার্চ ব্যালটবাক্স সরানোর পরামর্শ দেন বিএনপি সমর্থিত প্যানেলেরই এক প্রার্থী ।
মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘কাজল সাহেব আমাকে বললো যে খোকন ভাই সাহায্য করতে হবে। আমি যে দলের আদর্শে বিশ্বাস করি সে দলের চার পাঁচজন আইনজীবী কিন্তু কাজলের পাশে দাঁড়ানো।’
তবে সবকিছু ষড়যন্ত্র জানিয়ে পাল্টা অভিযোগ করেন রুহুল কুদ্দুস কাজল। তিনি বলেন, ‘মাহবুব উদ্দিন খোকনকে দল বলেছিল দায়িত্ব গ্রহণ না করার জন্য। তিনি দলের এ সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যখন নিজেই যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাহলে তিনি এ ধরনের অভিযোগ যে কাউকে দিয়ে নিজের কাজকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করতেই পারেন। তিনি প্রকারান্তরে আমাদের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগকেই সহযোগীতা করছেন, পৃষ্ঠপোষকতা করছেন।’
এই দ্বন্দের পর আওয়ামী পন্থী আইনজীবীরা বলছেন, স্বতন্ত্রপ্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথির সহিংসতায় বিএনপি নেতাদের ইন্ধনের বিষয়টি আবার প্রমাণ হলো।
সুপ্রিমকোর্ট বারের সম্পাদক শাহ মনজুরুল হক বলেন, ‘যে ত্রাস সৃষ্টি করা হয়েছিল এই অডিটরিয়ামে সে রাত একটি কালো রাত হিসেবে আইনজীবীদের কাছে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। আইনজীবীরা সেই ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছে।’
নিজেদের বিরোধের ঘটনায় বিএনপির হাইকমান্ডের প্রতি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি বিএনপির দুই আইনজীবী গ্রুপের।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.