Breaking News

কে হচ্ছেন মাউশির ডিজি, আলোচনায় যারা!

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালকের পদ পেতে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে শুরু হয়েছে দৌড়ঝাঁপ। বর্তমান মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের চাকরির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৩ এপ্রিল। তবে ঈদের ছুটির কারণে আগামী ৯ এপ্রিল তাঁর শেষ কর্মদিবস।

পদটিতে নিয়োগ পেতে আগ্রহীরা দৌড়ঝাঁপ করছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত। বিভিন্ন পর্যায়ে করছেন দেনদরবার। তবে শিক্ষা প্রশাসনে আলোচনা রয়েছে, বর্তমান মহাপরিচালকই এক বছরের জন্য এই পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন। বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত না হওয়ায় আগ্রহী অন্যরা তদবিরে পিছিয়ে পড়তে রাজি নন।

মাউশি মহাপরিচালকের পদটি গ্রেড-১ (সচিব) মর্যাদার। তবে অতীতে অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন ছাড়া বাকিরা অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদা নিয়ে অবসরে গেছেন। নিয়ম অনুসারে, শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের মধ্য থেকে চাকরির জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ডিজি নিয়োগের কথা থাকলেও গত ২৫-৩০ বছর রাজনৈতিক পরিচয় এ ক্ষেত্রে প্রাধান্য পেয়েছে।

বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির কাজ করে এই প্রতিষ্ঠানের আঞ্চলিক কার্যালয়গুলো। এ ছাড়া বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের ১৫ হাজার কর্মকর্তার নিয়োগ-বদলি-পদোন্নতি, টাইম স্কেল, বিদেশে প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষা বোর্ডসহ সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে প্রেষণে নিয়োগের জন্য কর্মকর্তা বাছাই করে মাউশি। পাশাপাশি সারাদেশের সাড়ে ছয় হাজার বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষক নিয়োগ, এমপিওভুক্তি, টাইম স্কেলসহ সবকিছু নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা এ কার্যালয়ের। এ কারণে এই প্রতিষ্ঠানের ডিজি পদে নিয়োগ পেতে আগ্রহী অনেকে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, অনেকেই এ পদের তদবির করলেও বর্তমান ডিজিসহ ছয়জনের নাম বেশি আলোচনা হচ্ছে। আলোচনায় থাকা অন্যরা হলেন– মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী, মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) সৈয়দ জাফর আলী, মাউশির অপর পরিচালক (প্রশিক্ষণ) অধ্যাপক ড. প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এবং বরিশাল বিএম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আমিনুল হক। এর বাইরেও বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক পদটিতে নিয়োগ পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আলোচনায় থাকাদের মধ্যে অধ্যাপক নেহাল আহমেদ পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। গতকাল সোমবার তাঁকে গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাউশির মহাপরিচালকের পদটি গ্রেড-১ পদের হলেও বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের পদ ও গ্রেড-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে খুব কম কর্মকর্তাই গ্রেড-১-এ যেতে পারেন। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তিনি এই পদে নিয়োগ পান।

মাউশির পরিচালক শাহেদুল খবির চৌধুরী ১৪তম বিসিএসের অর্থনীতির অধ্যাপক। ২০০৯ সাল থেকে তিনি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিভিন্ন পদে এবং ২০১৯ সাল থেকে বর্তমান পদে আছেন। তিনি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি। অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। তাঁর বাড়ি বৃহত্তর ফরিদপুরে। তিনি ১৭তম বিসিএসের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক। স্বাধীনতা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সংসদের সাধারণ সম্পাদক তিনি।

অধ্যাপক ড. প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য এর আগে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) উপপরিচালক এবং মাউশির সরকারি কলেজ শাখার উপপরিচালক ছিলেন। তিনি ১৪তম বিসিএসের গণিত বিষয়ের অধ্যাপক। তিনিও ফরিদপুরের বাসিন্দা। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারও ১৪তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের সদস্য।

অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক গত ৭ মার্চ বরিশাল বিএম কলেজে অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। এর আগে তিনি কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনিও ১৪তম বিসিএস কর্মকর্তা।

মাউশির ডিজি নিয়োগের ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান বলেন, ‘পদটি অত্যন্ত সম্মানজনক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার নীতিনির্ধারণী পদ। এ পদে সরকার যোগ্য লোককেই নিয়োগ দেবে।’

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/০২/০৪/২০২৪

Check Also

এনটিআরসিএ: শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহে ই-রেজিস্ট্রেশনের সময় বৃদ্ধি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) অধীনে শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য …