এইমাত্র পাওয়া

সাংবাদিকতা করায় ২ শিক্ষার্থীকে মাস্টার্সে ভর্তি না করার সিদ্ধান্ত ডিআইইউর

ঢাকাঃ ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) নানা অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট করায় সাংবাদিক দুই শিক্ষার্থীকে মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি করবে না বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন৷ রোববার (৩১ মার্চ) ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীরা বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন৷

ইসমাম আরও বলেন, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতি বন্ধ এবং ১০ ছাত্রকে বহিষ্কারের মাধ্যমে বিশ্ববিদয়ালয় প্রশাসন সাংবিধানিক অধিকার (অনুচ্ছেদ ৩৮) প্রয়োগ করতে বাধা সৃষ্টি করেছে। এটি একইসাথে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭ (আইনের দৃষ্টিতে সমতা), অনুচ্ছেদ ৩১ (আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার), অনুচ্ছেদ ৩২ (জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতায় অধিকার-রক্ষণ), অনুচ্ছেদ ৩৬(চলাফেরার স্বাধীনতা), অনুচ্ছেদ ৩৭ (সমাবেশের স্বাধীনতা) ও অনুচ্ছেদ ৩৯ (চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা ও বাক-স্বাধীনতা) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আমরা এ ঘটনার সঠিক সুরাহা চাই৷

ইসমাম আরও বলেন, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতি বন্ধ এবং ১০ ছাত্রকে বহিষ্কারের মাধ্যমে বিশ্ববিদয়ালয় প্রশাসন সাংবিধানিক অধিকার (অনুচ্ছেদ ৩৮) প্রয়োগ করতে বাধা সৃষ্টি করেছে। এটি একইসাথে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭ (আইনের দৃষ্টিতে সমতা), অনুচ্ছেদ ৩১ (আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার), অনুচ্ছেদ ৩২ (জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতায় অধিকার-রক্ষণ), অনুচ্ছেদ ৩৬(চলাফেরার স্বাধীনতা), অনুচ্ছেদ ৩৭ (সমাবেশের স্বাধীনতা) ও অনুচ্ছেদ ৩৯ (চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা ও বাক-স্বাধীনতা) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আমরা এ ঘটনার সঠিক সুরাহা চাই৷

ভুক্তভোগী আরেক শিক্ষার্থী ফয়সাল হোসেন বলেন,
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নেয়া সিদ্ধান্ত বা নিয়ম আমাদের ওপর বাতলে দিচ্ছে৷ যখন যেভাবে ইচ্ছা নোটিশ দিচ্ছে৷ আমাদের নামে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে৷ ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতা করা এবং পড়াশোনা করাটাই যেন একটা অপরাধ৷

এ বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে কোন অপরাধ প্রমাণিত হয়নি৷ কিন্তু তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন না৷

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে চলছে নানা সমালোচনা। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশের অর্ধশত সংগঠন৷ এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নিন্দা জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় সকল সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ৷ এদিকে সাংবাদিকতায় যুক্ত এই দশ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ কেন বাতিল হবে না তার ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছে বিশ্ববিদয়ালয় মঞ্জুরি কমিশন ইউজিসি৷

জানা গেছে, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতি, সিজিপিএ বাণিজ্য এবং নারী কেলেঙ্কারির মতো ঘটনাকে তুলে ধরায়, ১০ সাংবাদিক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এরপর এবার দুই শিক্ষার্থীকে মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি করবে না বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন৷ এর আগে গত ২৮ মার্চ এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন৷

চিঠিতে বলা হয়, সাংবাদিক সমিতিতে আপনাদের সম্পৃক্ততা থাকলেও এরইমধ্যে অনার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে ইউনিভার্সিটির কাছে চলমান শিক্ষার্থী হিসেবে বিবেচিত নন। এমতাবস্থায় কর্তৃপক্ষ আপনাদের অত্র ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি করবে না মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/৩১/০৩/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.