এইমাত্র পাওয়া

অধ্যাপকের ‘অর্থ কেলেঙ্কারি’ ফাঁস, ফেরত দিচ্ছেন টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

রাজবাড়ী সরকারি কলেজে চার মাসের জন্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক ফকির মো. নুরুজ্জামান। এ সময়ে তিনি কলেজের তহবিল থেকে ১৯ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন।

নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এলে কলেজের তহবিলে ৫ লাখ টাকা ফেরত দেন ওই অধ্যাপক। বাকি টাকাও পর্যায়ক্রমে ফেরত দেবেন বলে অঙ্গীকার করেন তিনি।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোস্তফিজুর রহমান অবসরে গেলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে ২০২২ সালের ২২ নভেম্বর দায়িত্ব নেন কলেজের বর্তমান উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ফকির মো. নুরুজ্জামান। তিনি ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে কলেজে যোগদান করেন অধ্যাপক হোসনেয়ারা খাতুন। নতুন অধ্যক্ষ যোগদান করে হিসাবের গরমিল দেখতে পান। অধ্যাপক ফকির মো. নুরুজ্জামান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকাকালীন (২০২২-২৩) অর্থবছরের নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়কালের জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিটি গঠন করা হয়।

কলেজের অধ্যাপক আবুল ওয়ায়েদ মো. বাছেদ ঠাকুরকে এ কমিটির আহ্বায়ক করা হয়। কমিটি ব্যাংক হিসাব ও খাতাপত্র পর্যবেক্ষণ করে ১৯ লাখ ২০ হাজার ৯৯৭ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি চূড়ান্তভাবে তুলে ধরেন। চূড়ান্ত হিসাবটি উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ফকির মো. নুরুজ্জামানকে অবহিত করা হয়। মো. নুরুজ্জামান অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি মেনে নিয়ে কলেজ তহবিলে অর্থ ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। সে অনুযায়ী তিনি দুই দফায় ৫ লাখ টাকা কলেজের তহবিলে জমা দেন।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত শিক্ষক দরিদ্র তহবিলের ২৫ হাজার টাকা, সংসদ তহবিলের ৫০ হাজার টাকা, কমনরুম তহবিলের ৬০ হাজার টাকা, যাতায়াত তহবিলের ৩০ হাজার টাকা, সাহিত্য ও সাময়িকী তহবিলের ১০ হাজার টাকা এবং উন্নয়ন তহবিলের ১ লাখ ২৫ হাজার টাকাসহ মোট ৩ লাখ টাকা জমা দেন এবং অধ্যক্ষকে অবহিত করে লিখিতভাবে জানান। অবহিতকরণ চিঠিতে তিনি বলেন, ‘রাজবাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন তহবিল হতে উত্তলিত অর্থের অব্যয়িত অংশ জমাদান।’

অধ্যাপক ফকির মো. নুরুজ্জামান বলেন, হিসাবে ভুল হয়েছিল। যে কারণে তিনি টাকা ফেরত দিচ্ছেন। ইতোমধ্যে ৫ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন।

নিরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আবুল ওয়ায়েদ মো. বাছেদ ঠাকুর জানান, মো. নুরুজ্জামানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকাকালীন ১৯ লাখ ২০ হাজার ৯৯৭ টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন। হিসাব নিরীক্ষা করে তারা এ তথ্যই পেয়েছেন।

কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক হোসনেয়ারা খাতুন জানান, অধ্যাপক ফকির মো. নুরুজ্জামান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকাকালীন যে অর্থ গ্রহণ করেছিলেন, তা তিনি ফেরত দিতে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে দুই কিস্তিতে ৫ লাখ টাকা কলেজ তহবিলে জমা দিয়েছেন। বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.