মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। জীবনের বিশিষ্ট সকল প্রকার পরিসংখ্যানের আলোকে বলা হয় মানুষই একমাত্র প্রাণী যে অন্য সবার উপর তার প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছে। প্রকৃতির সঙ্গে বোঝাপড়ার মাধ্যমে সে এমন এক প্রতিবেশ নির্মাণে সফল হয়েছে যেখানে সেরাত্বের অভিব্যক্তি বাস্তব করে তুলতে পেরেছে।
প্রকৃতির মধ্যে থেকে, প্রকৃতির সকল প্রকার বৈশিষ্ট্য ধারণ করে অতঃপর প্রকৃত বিজয়ী হওয়ার মধ্যে দিয়ে এটাই প্রমানিত হয় যে, প্রকৃতির উত্থান-পতন এবং এর ভালো-মন্দের সঙ্গে একমাত্র মানুষেরই দায়বদ্ধতা রয়েছে। প্রকৃতির অনুষঙ্গ যেমন উদ্ভিদ, প্রাণী, মাটি, পানি ইত্যাদি সকল কিছুই এমন এক শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে চলমান থাকে যেখানে পরিবেশের সুষ্ঠুতার মানদণ্ড স্বাভাবিক অবস্থায় বিরাজ করে।
জীবনধারণের নিত্য-নৈমিত্তিক আয়োজনে মানুষ তার অস্বাভাবিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে প্রকৃতির সর্বনাশ ডেকে আনছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আচরণে পরিবর্তন এনে মাটি, পানি এবং পরিবেশ বাঁচাতে হবে। এরা বাঁচালেই মানুষ বাঁচবে। মানব সংস্কৃতি বাচবে, সভ্যতা টিকে থাকবে।
খাদ্য যোগানের অনন্য উৎস যে ‘মাটি’:
জীবন ধারণের জন্য পৃথিবীর সকল প্রাণী মাটির ওপর নির্ভরশীল। মাটিতে হাজার হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ জন্মায়। উদ্ভিদ বিভিন্ন প্রকার পুষ্টি গ্রহণ করে এই মাটি থেকেই। মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী আবার উদ্ভিদ থেকে তাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সংগ্রহ করে।
উদ্ভিদ থেকে নিয়ে মানুষ সকলেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মাটি থেকেই তাদের প্রয়োজনীয় খনিজ, ভিটামিন, প্রোটিন ইত্যাদি গ্রহণ করে বেঁচে থাকে এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের উপযোগী হয়ে উঠে।
অর্থাৎ খাদ্যের জন্য মানুষ মাটির ওপর নির্ভরশীল। অতএব মাটি থেকে উদ্ভিদ এই যে অনবরত পুষ্টি গ্রহণ করে চলেছে তা কোনো না কোনো উপায়ে মাটিতেই ফেরত দেয়া অত্যাবশ্যক। এতে করে পুষ্টির কারখানাখ্যাত মাটির উর্বরতামান বজায় থাকে এবং জীবনচক্রের অত্যাবশকীয় ‘মাটি’ নামক উপাদানটির মৌলিকত্ব বজায় থাকে।
সরকারি গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট ভূমির প্রায় ৭৫ শতাংশই এখন উর্বরতা ঘাটতিতে ভুগছে। অনুর্বর হয়ে পড়া জমির পরিমাণ প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। বেশিরভাগ উপজেলার মাটিতে পরীক্ষা করে জৈব পদার্থ ও নাইট্রোজেনের যথেষ্ট ঘাটতি পাওয়া গেছে। রাসায়নিক পদার্থ যেমন ফসফরাস, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সালফার, বোরন ইত্যাদির কোনোটিই সঠিক মাত্রায় নেই।
আগামী ২০৫০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ৯০০ কোটিতে দাঁড়াবে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে মাটির অবক্ষয় ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছাবে। যা খাদ্য, পানি ও বাতাসকে করে তুলবে অতি ভয়ানক রকম বিষাক্ত। তাই দেখা যায় মানব সভ্যতার টিকে থাকার জন্য মাটির গুণগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা অত্যাবশ্যক।
পৃথিবীর প্রায় ৯৫ ভাগ খাদ্য জোগান দেয় মাটি। পৃথিবীর ক্ষুধা দূর করতে এবং আমাদের ভবিষ্যতের জন্যে স্বাস্থ্যকর একটি গ্রহ চলমান রাখতে মাটিকে সুস্থ রাখতে পারাই একমাত্র কার্যকরী উপায়।
মানব দেহে যেমন ইলেকট্রলাইট ইমব্যালেন্স হলে জীবন বিপন্ন হওয়ার শঙ্কা সৃষ্টি হয়, ঠিক তেমনি জৈব উপাদান, অনুজীবের সংখ্যা এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট পরিমিত পরিমাণের নিচে নেমে গেলে মাটির উৎপাদনশীলতাও ক্রমান্বয়ে নিম্নমুখী হতে থাকে।
আমাদের দেশের মাটির বর্তমান স্বাস্থ্য নিয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তি আছে। অনেকেই বলেন যে, আমাদের মাটি অত্যন্ত উর্বর। যে কোনো ফসল ও গাছ-গাছালি এ মাটিতে রোপণ করলে তরতরিয়ে বেড়ে ওঠে এবং ফলফলাদি দিতে থাকে। এ কথাটি এখন অধিকাংশ ক্ষেত্রে আর মোটেই বাস্তবসম্মত নয়।
যে মাটি প্রতি বছর বন্যা প্লাবিত হয় সে মাটি ছাড়া অন্য সব মাটি এরই মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সারা দেশের মাটির প্রায় ৭০ শতাংশেই প্রধান জীবনী শক্তি জৈব উপাদানের (organic matter) পরিমাণ ১ শতাংশ বা তারও নিচে নেমে এসেছে, যা থাকা উচিত কম পক্ষে ২ শতাংশ।
মাটির সঙ্গে পানি এবং পরিবেশ ওতপ্রতোভাবে জড়িয়ে রয়েছে। এই তিনের সঙ্গে মানবস্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিবিড়। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন টেকসই মৃত্তিকা, পানি ও পারিবেশের সমন্বিত ব্যবস্থাপনা। বাংলাদেশের কৃষি এখন খরপোশ কৃষি থেকে বাণিজ্যিক কৃষিতে উত্তরণের ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।
উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি উৎপাদিত কৃষিপণ্যের গুণাগুণ বজায় রাখতে হলে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় পরিবেশের প্রধান উপাদান মাটি ও পানির সঠিক ব্যবহারের দিকে নজর দিতে হবে সবার আগে।
ভবিষ্যতে দেশের আবাদি জমির পরিমাণ আরও কমবে যা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বিপদের কারণ হতে পারে। মনে রাখতে হবে, মাটি বাঁচলে পরিবেশ বাঁচবে, দেশ বাঁচবে। পরিবেশ বাঁচলে রক্ষা পাবে প্রাণী ও উদ্ভিদজগৎ। মানুষ বাঁচবে।
প্রাণের উৎস পানি:
পৃথিবীর সকল প্রাণের উৎসই পানি। প্রাণী, গাছপালা, তরুলতা সবাই পানির উপর নির্ভরশীল। ৭০০ কোটি মানুষ আজ খাদ্য ও জ্বালানির মত মৌলিক বিষয়ের পাশাপাশি আরো যে বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি তা হচ্ছে সবার জন্য বিশুদ্ধ ও নিরাপদ খাবার পানি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, নদীমাতৃক এই বাংলাদেশে বর্তমানে ৯.৫ কোটি মানুষ বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করতে পারছে না। অপ্রতুলতা ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে বাংলাদেশের পরিবেশ ও প্রকৃতি ক্রমশ ভারসাম্যহীন হয়ে উঠছে।
গবেষণা বলছে, বিশ্বের সকল রোগের চার পঞ্চমাংশ রোগ এবং এক তৃতীয়াংশ মৃত্যু দূষিত পানির কারণে হয়ে থাকে। জাতিসংঘের এসডিজি-৬ অর্জনের প্রধানতম লক্ষ্য হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করা।
পানি পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রেখেছে, বাসযোগ্য রেখেছে। প্রকৃতি, জীবন ও সভ্যতা সবই পানি ছাড়া অচল। আজ এই পানির সংকট বৈশ্বিক একটি সংকটে পরিণত হয়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, দ্রুত শিল্পায়ন, নগরায়ন, দূষণ, পরিবেশ বিপর্যয়, এবং পানির অপচয় হল পানি সংকটের কারণ। জলবায়ু পরিবর্তনকেও পানি সংকটের কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে।
মেরু অঞ্চলে জমে থাকা বরফের স্তুপ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে উপকূলীয় অঞ্চলে লোনা পানি প্রবেশ করছে। আবার আর্সেনিক, পারদ, লোহা, ক্রমিয়াম ইত্যাদি বিষাক্ত ভারী ধাতুসমূহও বিশুদ্ধ পানি সংকটের কারণ।
পৃথিবীর এই সীমিত সম্পদ পানির দূষণ প্রক্রিয়ায় কৃষি, নগরায়ন এবং শিল্পায়ন মূলত এই তিনটি ক্ষেত্রই সরাসরি জড়িত। এছাড়াও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা অনুযায়ী বর্ধিত খাদ্য উৎপাদনের তাগিদে মানুষ ব্যাপক এনার্জি ব্যবহার করে।
খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি জড়িত— বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, এসিড বৃষ্টি, তাপীয় দূষণ, তেল দূষণ ইত্যাদি। মানুষের কর্মকাণ্ডের ফলে লেক, নদী, খাল-বিল ও ভূগর্ভে যে ব্যবহারযোগ্য পানি রয়েছে তাও দ্রুত দূষিত হয়ে পড়ছে। পয়ঃপ্রণালীর অপরিশোধিত ময়লা পানি, কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য, আবর্জনার ভাগার হতে নির্গত গাদও ভূগর্ভস্থ পানি দূষিত করছে নিয়মিতভাবে।
স্বল্প জমিতে অধিক খাদ্য ফলানোর জন্য অস্বাভাবিক উপায় অবলম্বন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার আর কীটনাশক দ্রুতই মারাত্মকভাবে পানি দূষণ ঘটাচ্ছে।
মাটি, পানি ও পরিবেশ এই মহা সম্পদগুলোকে রক্ষা ও সংরক্ষণের জন্য এখনই পদক্ষেপ নেওয়া কেবল একটি বিকল্প নয় বরং অতি প্রয়োজন। পৃথিবী নামক আমাদের এই গ্রহের ভবিষ্যৎ এবং এর সমস্ত বাসিন্দাদের মঙ্গলের জন্য এই সম্পদগুলোর উপর আমাদের দায়িত্বশীল ব্যবস্থাপনা দরকার।
আগামী প্রজন্মের কাছে সম্পদগুলো যেন জীবনের একান্ত উৎস হয়ে থাকে, তা নিশ্চিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জনের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের পানি ব্যবস্থাপনা, স্যানিটেশন, কৃষিকাজ, শিল্পখাত, বাস্তুচ্যুতি ইত্যাদি বিবেচনায় রেখে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পানি চাহিদা পূরণে কার্যকরি পরিকল্পনা গ্রহণের যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় রেখে নদীর তীর সংরক্ষণ, নদীর নাব্যতা রক্ষার্থে ড্রেজিং, খাল পুনঃখনন, প্রাকৃতিক জলাধার রক্ষণাবেক্ষণ, নতুন জলাধার ও ব্যারেজ নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।
সুস্থ-সুন্দর পরিবেশ, জীবনের অঙ্গীকার:
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বৈচিত্র্য পৃথিবীকে করেছে আকর্ষণীয় ও অনন্য। প্রকৃতির এই অনবদ্য রূপের স্বাদ পেতে মানুষ ছুটে যায় দেশ থেকে দেশান্তরে। মানুষের চোখ ধাঁধিয়ে যায়, মন আবেগে আপ্লুত হয়ে ওঠে।
পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অবিশ্বাস্য সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হৃদয় দিয়ে উপভোগ করে তারা। কোথাও সমুদ্র তীরে আছড়ে পড়া সফেদ ঢেউ আর দিগন্তে আকাশের মিতালী, কোথাও আবার আকাশ জোড়া তারার দলে মোহনীয় রঙিন আলোর ঝলকানি।
আলো, বাতাস, মাটি, পানি গাছপালা তথা আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তা নিয়েই প্রাকৃতিক পরিবেশ। আমরাও এই পরিবেশের বাইরের কেউ নই। পরিবেশের ভারসাম্য আছে বলেই পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব টিকে আছে।
অথচ প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক পরিবেশ আর পরিবেশের মৌলিক উপাদানগুলো এই মানুষই দূষিত করে চলেছে। পানি দূষণ, বায়ু দূষণ, মাটি দূষণ— যেদিক তাকাই শুধু দূষণ আর দূষণ। এই অব্যাহত দূষণ একদিন আমাদেরকেই ধ্বংস করে দিবে। এখুনি সময়— বাঁচতে হলে প্রকৃতি ও পরিবেশ বাঁচাতে হবে। পৃথিবীতে জীবনের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য সুস্থ, সুন্দর এবং নির্মল পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
নানা ধরণের শিল্প উদ্যোগ ও কারখানা আমাদের এই প্রকৃতির সকল নদ-নদী, খাল-বিল, পুকুর-জলাশয়, হ্রদ-বায়ুকে দূষিত করছে প্রতিনিয়ত। অপরিকল্পিত নগরায়ন, জনবিস্ফোরণ ক্রমাগত বেড়েই চলছে। দিনের পর দিন কঠিন ও তরল বর্জ্য জলাধারগুলোকে বিষাক্ত করে তুলছে।
খনিজ নিস্কাশন, বৈদ্যুতিক প্রকল্প স্থাপন, কৃষিক্ষেত্রে রাসায়নিক সার প্রয়োগ পানিকে ব্যবহারের অনুপযুক্ত করছে। উচ্চ ও বিকট শব্দ জীবজগৎ ও পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। হাইড্রোলিক হর্ণ, লাউডস্পিকার, বোমা ও আতসবাজি ক্রমাগত শব্দ দূষণ করে চলছে। এছাড়া পাহাড়কাটা, বৃক্ষনিধন, বনউজাড়, পাখি শিকার, পশু নিধন, নদীভরাট, বালু উত্তোলনের মতো হাজারো রকম পরিবেশ বিধ্বংসী অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড যেন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আমাদের এসব আত্মঘাতী কাজকর্ম শুধু যে বর্তমান প্রজন্মকেই ভোগ করতে হচ্ছে এমন নয়, আগামী প্রজন্মকেও বিপদাপন্ন করে তুলছে। আদিম গুহাবাসী মানুষ আজ মহাকাশ বিজয়ী।
ন্যানো টেকনোলজি, জিন ট্রান্সফার, চ্যাট জিপিটি উদ্ভাবন ইত্যাদি মানুষের শ্রেষ্ঠ অর্জন। মানুষ তার শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখে সৃজনশীল ও সৃষ্টিশীল কাজের মাধ্যমে। পরিবেশ দূষণ আজ যে মানব সভ্যতাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে, তা নিরসন ও প্রশমনের দায়িত্বও তাই নিতে হবে সৃজনশীল ও বুদ্ধিমান মানুষকেই। এমনটাই প্রত্যাশা আজ পৃথিবীবাসীর।
পরিবেশই আমাদের বেঁচে থাকার প্রধান অবলম্বন। তাই আসুন, পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখি। আমরা মুক্ত থাকি বিভিন্ন জটিল-কঠিন রোগ, দুর্যোগ ও মহামারী থেকে। পরিবেশ সুরক্ষিত রাখি, আমরাও সুরক্ষিত থাকি।
পরিবেশ রক্ষায় বর্তমান মুহূর্ত থেকেই সচেতন হই, অন্যকেও সচেতন করে তুলি। পৃথিবীটাকে বাসযোগ্য করে তুলি। ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে গড়ে তুলি একটি নান্দনিক পৃথিবী। সুস্থ পৃথিবীর জন্য এই হোক আমাদের জীবনের অঙ্গীকার।
লেখক –ড. আবুল হাসনাত মোহাঃ শামীম
অধ্যাপক (মৃত্তিকা বিজ্ঞান), বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
ও
ড. শেখ মনির উদ্দিন জুয়েল
সহযোগী অধ্যাপক, চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.