এইমাত্র পাওয়া

বুটেক্সে ভর্তিতে আবেদন শুরু, পরীক্ষা ৮ মার্চ

ঢাকাঃ বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামে লেভেল-১–এ ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন অনুষদের বিভাগসমূহে চার বছর মেয়াদী কোর্সের আবেদন রবিবার (২৮ জানুয়ারি) শুরু হয়েছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
লিখিত পরীক্ষার যোগ্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি।

আসন কত?
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০টি বিষয়ে এবার ৬০০ আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে। সেগুলো হলো-
১. ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং (৮০)
২. ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং (৮০)
৩. ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং (৮০)
৪. অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং (৮০)
৫. টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট (৮০)
৬. টেক্সটাইল ফ্যাশন অ্যান্ড ডিজাইন (৪০)
৭. ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (৪০)
৮. টেক্সটাইল মেশিনারি ডিজাইন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স (৪০)
৯. ডাইজ অ্যান্ড কেমিক্যালস ইঞ্জিনিয়ারিং (৪০) এবং
১০. এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (৪০)।

আবেদন ফি
আবেদন ফি ৩০০ টাকা। অনলাইনে আবেদন করতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য প্রার্থীকে ১ হাজার টাকা প্রদান করে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে।

প্রবেশপত্র ডাউনলোড: ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা হতে ৫ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত
ভর্তি পরীক্ষা: ৮ মার্চ (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ৯টা হতে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে
ফলাফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ: ২৮ মার্চ।

আবেদনের যোগ্যতা
আবেদনকারীকে অবশ্যই জন্মগতভাবে বা নাগরিকত্ব গ্রহণে বাংলাদেশি হতে হবে।

আবেদনকারীকে বাংলাদেশের যেকোন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড হতে গ্রেডিং পদ্ধতিতে ৫.০০–এর স্কেলে ন্যূনতম জিপিএ ৪.৫০ পেয়ে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট, দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস অথবা বিদেশি শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় সমতুল্য গ্রেড পেয়ে পাস করতে হবে।

২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বা কারিগরি শিক্ষা বোর্ড হতে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি কিংবা তার সমমানের পরীক্ষায় গ্রেডিং পদ্ধতিতে ৫.০০–এর স্কেলে ন্যূনতম জিপিএ ৪.৫০–সহ গণিত, পদার্থ, রসায়ন ও ইংরেজি বিষয়ে সর্বমোট কমপক্ষে ১৮.৫০ গ্রেড পয়েন্ট পেতে হবে।

গণিত, পদার্থ এবং রসায়ন বিষয়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ওপর ভিত্তি করে মেধার ভিত্তিতে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ৭ হাজার ২০০ জন যোগ্য প্রার্থীর তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। একই সঙ্গে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে শিক্ষার্থীদের।

প্রার্থী জিসিই ‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেল পাস করে থাকলে, তার ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ‘ও’ লেভেল পরীক্ষায় গণিত, পদার্থ, রসায়ন ও ইংরেজি বিষয়ে আলাদা আলাদাভাবে ‘এ’ গ্রেড পেতে হবে। ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় পদার্থ, রসায়ন ও গণিত বিষয়ে আলাদা আলাদাভাবে ‘এ’ গ্রেড পেতে হবে। প্রার্থীকে ২০২৩ সাল বা তার পরে ‘এ’ লেভেলের ফলাফল প্রাপ্ত হতে হবে। সমমানের সার্টিফিকেট প্রাপ্তির জন্য ১ হাজার টাকা অর্থ ও হিসাব দপ্তরে নগদ প্রদানপূর্বক ‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড, নম্বরপত্র ও সার্টিফিকেটের সত্যায়িত অনুলিপিসহ বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবেদন করতে হবে।

প্রবেশপত্র সংগ্রহ
আবেদনকারী লিখিত পরীক্ষার ফি ১ হাজার টাকা প্রদানের পর প্রবেশপত্র প্রাপ্তির জন্য http://but.teletalk.com.bd এ ব্রাউজ করতে হবে। BUT এডমিশন অপশনে ক্লিক করে সিন নিজ User ID ও Password দিয়ে লগইন করলে আবেদনকারীর তথ্য প্রদর্শিত হবে এবং ছবি ও স্বাক্ষর আপলোডের অপশন পাওয়া যাবে। তথ্যগুলো নির্ভুলভাবে সাবমিট করলে আবেদনকারী তাৎক্ষণিকভাবে ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর, ছবি ও স্বাক্ষর সম্বলিত প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। ডাউনলোডকৃত প্রবেশপত্র রঙিন প্রিন্ট করতে হবে। প্রবেশপত্র সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি হতে ৫ মার্চ পর্যন্ত।

লিখিত পরীক্ষার নম্বর ও বিষয়
মোট ২০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে গণিত ৬০, পদার্থ ৬০, রসায়ন ৬০ এবং ইংরেজি ২০ নম্বর। লিখিত পরীক্ষা নিম্নবর্ণিত নিয়মাবলী অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে—

২০২৩ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডসমূহ কর্তৃক পরিচালিত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার নির্ধারিত সিলেবাস অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রশ্নপত্র বাংলা এবং ইংরেজি উভয় মাধ্যমে হবে।

ফলাফল প্রকাশ
ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ড এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

প্রার্থী নির্বাচন
ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে। সর্বোচ্চ তিন হাজারজন প্রার্থীর মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ শতাংশের নিচে নম্বর প্রাপ্তদের (সব ধরনের কোটাসহ সবার জন্য প্রযোজ্য) মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে না। তবে ভর্তি কমিটি বাস্তব প্রয়োজনে নির্ধারিত ৪০ শতাংশ নম্বর এবং উল্লেখিত সংখ্যা পরিবর্তন করতে পারবেন। প্রার্থীর মেধাক্রম ও পছন্দ অনুযায়ী, সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে বিভাগ নির্ধারণ করা হবে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৮/০১/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.