এইমাত্র পাওয়া

প্রধান পরীক্ষক হতে প্রতারণামূলক তথ্য দিলে শাস্তি পাবেন শিক্ষকরা!

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ মাস্টার ট্রেইনার না হওয়া সত্ত্বেও প্রধান পরীক্ষক হওয়ার জন্য ভুল তথ্য দিচ্ছেন অনেক শিক্ষক। এমন শিক্ষকদের বিষয়ে শাস্তির বিধান উল্লেখ করে জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।

বুধবার সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এই জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে, প্রধান পরীক্ষক হওয়ার জন্য অনেক শিক্ষক মাস্টার ট্রেইনার না হওয়া সত্ত্বেও অনলাইনে নির্ধারিত ফরম (ই-টিআইএফ) এ মাস্টার ট্রেইনারের কলাম পূরণ করছেন, যা গর্হিত অপরাধ।

সুতরাং যারা প্রকৃত মাস্টার ট্রেইনার না, তাঁরা অতিদ্রুত কলামটি সংশোধন করবেন। অন্যথায় এমন প্রতারণামূলক তথ্যের জন্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সত্যায়ন করার দায়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানরাও দায় এড়াতে পারবেন না। কারণ প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রতিটি শিক্ষকের তথ্য অনুমোদনকারী।

শিক্ষকদের সার্টিফিকেটের বিষয়ে বলা হয়, দেখা যাচ্ছে অনেক শিক্ষক তাদের এসএসসি, এইচএসসি, বিএ, বিএসসি, অনার্স, মাস্টার্স, বিএড, এমএড, পিএইচডি ইত্যাদি পরীক্ষায় প্রাপ্ত বিভাগ বা শ্রেণি ই-টিআইএফের নির্দিষ্ট কলামে এন্ট্রি না করে ফাঁকা রাখেন। অথচ প্রধান পরীক্ষক, পরীক্ষক হওয়ার জন্য এসব ফলাফলের জন্য সুনির্দিষ্ট পয়েন্ট রয়েছে। তাই এসব কলাম পূরণ করতে হবে। এ ছাড়া অনেক শিক্ষক তার শিক্ষকতার যোগদান তারিখের পরিবর্তে বর্তমান স্কুল-কলেজে যোগদানের তারিখ দিয়ে থাকেন। এতে তার শিক্ষকতার প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায় না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে যেসব শিক্ষক পিআরএল অবস্থায় বা চাকরি ৬০ বছর চলমান তাদের ডাটা নিজ দায়িত্বে ডিলিট করতে হবে। ই-টিআইএফ সংক্রান্ত তথ্য আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে পাঠাতে হবে। এরপর পাঠানো তথ্য ২০২৪ সালের এসএসসির পরীক্ষার জন্য প্রযোজ্য হবে না।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২১/১২/২০২৩  

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.