সেসিপের চাকরি রাজস্বে নেওয়া হোক

মো. আব্দুল হাকিমঃ বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে জুলাই ১৯৯৯ থেকে জুন ২০০৭ মেয়াদে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (সেসিপ) সফলভাবে বাস্তবায়িত হয় এবং এডিবি কর্তৃক পুরস্কৃত হয়। এর লক্ষ্য ছিল মাধ্যমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন এবং উন্নততর শিক্ষা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলা। ওই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য একই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সেসিপ-এর ফলোআপ প্রজেক্ট হিসেবে জানুয়ারি ২০০৭ থেকে জুন ২০১৪ মেয়াদে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এসইএসডিপি) গৃহীত হয়। পরে এর ফলোআপ প্রজেক্ট হিসেবে ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম চালু করা হয়; যা ডিসেম্বর ২০২৩ সালে সমাপ্ত হবে।

এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ও কাজের পরিধি আগের তুলনায় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেলেও জনবল বেশ অপ্রতুল। এ অবস্থায় সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত ও কর্মরত ১ হাজার ১৮৭টি পদসহ সেসিপের পুরো জনবল রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জন্য প্রধানমন্ত্রী ২৪-০৬-২০১৯ সানুগ্রহ অনুমোদন প্রদান করেন। এজন্য অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত পরিপত্রগুলোর শর্তও শিথিল করা হয়।

উপরন্তু, প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত অনুমোদনের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০২১ সালের ৬ মে সেসিপের সর্বমোট ১১৮৭টি পদ রাজস্বখাতে স্থানান্তরে সম্মতি জ্ঞাপন করে। এ পদগুলোর মধ্যে আছে, সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট ০১ টি ,প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ ০১টি ,কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ ০২ টি ,প্রোগ্রামার ০১টি ,শিক্ষা পরিসংখ্যানবিদ ০১টি ,মেইনটেনেন্স ইঞ্জিনিয়ার ০১টি ,সহকারী মেইনটেনেন্স ইঞ্জিনিয়ার ০৭ টি ,থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ২৫টি ,থানা একাডেমিক সুপারভাইজার ২৫টি ,উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ৪৭২টি ,গবেষণা কর্মকর্তা ৮৬টি ,সহকারী পরিদর্শক ২৪৪টি ,সহকারী প্রোগ্রামার ৫৬টি ,ডিস্ট্রিক্ট ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর ৫৯টি ,সহকারী থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ২১ টি ,কম্পিউটার অপারেটর ২১ টি ,ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ০৬টি ,হিসাবরক্ষক ০১টি ,হিসাবরক্ষক ১৬টি ,কম্পিউটার অপারেটর কাম অফিস সহকারী ১৭টি ,গাড়ী চালক ১৫টি ,অফিস সহায়ক ৫৯টি, নাইট গার্ড ২৫টি এবং পরিচ্ছন্নকর্মী ২৫টি ।

এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এর সভাকক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাবিভাগের উদ্ধতন কর্মকর্তা,অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উদ্ধতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বেশ সফল একটা সভা হয়। কিন্তু রহস্যজনকভাবে, ওই সভার সিদ্ধান্তসমূহ আজ অবধি বাস্তবায়ন না হয়নি। ফলে সেসিপ প্রোগ্রামের ১১৮৭ টি (অধিকাংশ প্রকল্পে চাকুরী ১৫-২৪ বছর এবং যাদের অধিকাংশের বয়স ৪০-৫০ বছর) পদের মানুষেরা অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশাগ্রস্থ ও শঙ্কিত।

সভাপতি, সেসিপ কর্মকর্তা- কর্মচারি কল্যাণ পরিষদ

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৯/২০২৩

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.