মানিকগঞ্জ: জেলার হরিরামপুরে আন্ধারমানিক ইসলামিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষকের বেত্রাঘাতে এক শিক্ষার্থীর পা পচন ধরার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে মো. নাহিদ মোল্লা (১২) নামে ওই শিক্ষার্থীর ডান পায়ের একাংশের মাংস কেটে ফেলা হয়েছে।
নাহিদ মোল্লা উপজেলার বাহিরচর গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলম কুট্টুর ছোট ছেলে। অসুস্থ শিশুটি এখন মানিকগঞ্জের মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। দুবার অপারেশন করা হয়েছে ছেলের এমন করুন দশায় দুশ্চিন্তায় পরিবারটি। এছাড়া চিকিৎসার টাকা জোগারে হিমশিম খাচ্ছেন তার বাবা জাহাঙ্গীর আলম।
নাহিদের বাবা মো. জাহাঙ্গীর আলম কুট্টু জানান, ছেলেকে কুরআনে হাফেজ বানানোর জন্য দেড় থেকে দুই বছর আগে আন্ধারমানিক ইসলামিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করাই।
তিনি আরও বলেন, গত কুরবানি ঈদের কয়েকদিন পর মাদ্রাসার শিক্ষক আল আমিন আমার ছেলের ডান পায়ে সজোরে বেত্রাঘাত করেন। কিন্তু শিক্ষকের ভয়ে আমাকে কিছুই বলেনি। পরে অবস্থা বেগতিক হয়ে পড়লে গত ৩০ আগস্ট নাহিদকে মুন্নু মেডিকেলে ভর্তি করাই। যেখানে শিক্ষক বেত্রাঘাত করেছিল সেখানে ফুলে পচন ধরে যায়। ইতোমধ্যে দুইবার অপারেশন করা হয়েছে। সর্বশেষ পচে যাওয়া মাংস কেটে ফেলা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে সুস্থ হতে অনেক টাকা লাগবে। আমি গরীব মানুষ, এখন কি করব, কার কাছে বিচার দেব, জানি না।
নাহিদের মা নাসরিন বলেন, আমার ছেলের অবস্থা তেমন ভালো না। ডান পাশের রানের মাংস অনেকখানি কেটে ফেলছে। সঙ্গে প্রচুর জ্বর রয়েছে। ক্ষতস্থানে প্রতিদিন বেশ কয়েকবার পরিষ্কার করতে হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মো. নাহিদ মোল্লা বলেন, দেড় মাস আগে আমার পায়ে সজোরে বেত্রাঘাত করেছিলেন আলামিন স্যার। অনেক সহপাঠী দেখেছে। শিক্ষকের ভয়ে পরিবারের কাউকে ঘটনাটি বলিনি।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার সভাপতি এনামুল হক মোসাদ্দেক বলেন, বিষয়টি মাদ্রাসার পক্ষ থেকে আমাকে অবগত করা হয়েছে। ছেলেটিকে সুস্থ করতে মাদ্রাসার পক্ষ থেকে অর্থ সহযোগিতা করা হবে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৯/০৯/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.