স্কুল কক্ষেই শুয়ে থাকেন শিক্ষিকা, বাতাস করতে হয় শিক্ষার্থীদের
সুভাষ বিশ্বাস, নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর অঞ্চল: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুদের দিয়ে বিদ্যালয় চলাকালীন সময় নিজের ব্যক্তিগত কাজ করানোর অভিযোগ উঠেছে নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। ঐ শিক্ষিকার নাম মোছা: পেয়ারী বেগম। অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো:সাজ্জাদুল করিমের ছত্র ছায়ায় এই কাজ করে আসছিলেন এই শিক্ষিকা।
অভিভাবক ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, গাড়াগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছা: পেয়ারী বেগম প্রতিদিনই বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুদের হাতে হাত পাখা ধরিয়ে দেন এবং পালাক্রমে শিশুদের বাতাস করতে বলেন ও বিদ্যালয়ের কক্ষকে নিজ শয়ন কক্ষ হিসেবে ব্যবহার করার ছবি ভাইরাল হওয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। এ বিষয়ে শিক্ষিকা মোছা: পেয়ারী বেগমের সাথে কথা বলতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মো:সাজ্জাদুল করিম শিক্ষিকার সাথে কথা বলাতে দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন ও বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করেন।
প্রধান শিক্ষক মো:সাজ্জাদুল করিম শিক্ষাবার্তা'কে বলেন, আমি শিক্ষিকা মোছা:পেয়ারী বেগমকে ক্ষমা করে দিয়েছি আর কথা বলার কি দরকার।
জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সভাপতি মো: আব্দুল কাফি শিক্ষাবার্তা'কে বলেন, তাকে সংশোধন হবার সুয়োগ করে দিতে হবে। শিক্ষিকা মোছা: পেয়ারী বেগম সকলের সামনে তার ভুল স্বীকার করেছে।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার (ক্লাস্টার) মো:আতাউর রহমান শিক্ষাবার্তা'কে বলেন, আমি ছবিগুলো দেখেছি আমি তাকে শোকজ করব। জানতে চাইব কি কারনে তিনি বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে শিশুদের দিয়ে এসব কর্মকাণ্ড করান।
নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: নবেজ উদ্দিন সরকার শিক্ষাবার্তা'কে বলেন, বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করানোর কোন নিয়ম নেই। যদি কোন শিক্ষকএই ধরনের কাজ করে থাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৩/০৭/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়