শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বসবে এনটিআরসিএ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষার বিষয়ে খুব শিগগিরই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বসবে বেসরকারি শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। দীর্ঘদিন হলেও ১৭তম নিবন্ধন প্রিলিমিনারি পরীক্ষার দিনক্ষণ না দিতে পারায় এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এনটিআরসিএ সচিব ওবায়দুর রহমান।
তিনি বলেন, পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে অগ্রগতি চলছে। ওএমআর শিটসহ বেশকিছু বিষয়েই আমরা কাজ সম্পন্ন করেছি। স্থান সঙ্কটের কারণে এখনো পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা সম্ভব হচ্ছেনা। তবে চলতি বছর জুনের মধ্যে পরীক্ষা নেয়া হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।
জানা যায়, ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে প্রায় ১২ লাখ প্রার্থী আবেদন করেন। ওই বছরের ১৫মে প্রিলি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়। তবে করোনার কারণে তখন পরীক্ষা স্থগিত হয়। করোনা এখন নিয়ন্ত্রণে আসলেও পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হচ্ছে না।
এ বিষয়ে একাধিকবার বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন প্রার্থীরা। এরপরও এখন পর্যন্ত কোন সমাধান মেলেনি।
আবেদনকারীরা বলছেন, দুই বছর হতে চললেও এখনো প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এতে করে অনেক প্রার্থীর বয়স ৩৫ বছর হয়ে গেছে। এছাড়া দ্রুত পরীক্ষা না হলে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি থেকেও তাদের বাদ পড়ার শঙ্কা রয়েছে। দ্রুত পরীক্ষা না হলে লাগাতার আন্দোলনে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তারা।
১৭ তম প্রিলিমিনারি আবেদনকারীদের পক্ষে কাজ করছেন জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, বারবারই কর্তৃপক্ষের থেকে গড়পড়তা কথা আমরা শুনে এসেছি। তারা আমাদের বলছেন জায়গার সমস্যা, সিস্টেম এনালাইসিসের সমস্যা, এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি ইত্যাদি। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখনো চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ আমরা পাইনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এনটিআরসিএর পরীক্ষার জন্য সারাদেশে ১৯টি সেন্টার প্রয়োজন। এরমধ্যে ঢাকায় রয়েছেন ৫-৬ লাখ আবেদনকারী। তাহলে ঢাকার বাইরে ১৮ জেলায় খুব বেশি পরীক্ষার্থী সমাগম হয় না। এক্ষেত্রে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাস করেন চার ভাগের এক ভাগ। অর্থাৎ এই পরীক্ষাটি সম্পন্ন হলেই লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নিতে কতৃপক্ষের বেশি সময় লাগবে না।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বলছেন, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কার্যক্রমের প্রশ্ন প্রণয়ন ও খাতা দেখার বিষয়টি দেখভাল করে এনটিআরসিএ। শুধুমাত্র ফল প্রকাশ বাংলাদেশ টেলিটকের মাধ্যমে করা হয়। অনেকক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এই ধরণের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও কাজ করে। কিন্তু এনটিআরসিএ কর্মকর্তারা বলছেন, বুয়েটের মাধ্যমে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি অনেক ব্যয় সাপেক্ষ। এজন্য টেলিটকের হাতেই এ কাজটি ছেড়ে দেয় এনটিআরসিএ।
জানতে চাইলে এনটিআরসিএ সচিব ওবায়দুর রহমান বলেন, পরীক্ষা আয়োজনে স্থান সমস্যা থেকে বাঁচতে শিক্ষাবোর্ডগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল। কিন্তু শিক্ষা সচিব পরিবর্তন হওয়ার কারণে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আমরা বসবো। তিনি আমাদেও সঙ্গে বসতেও রাজি হয়েছেন। তবে বৈঠকের তারিখ এখন নির্ধারণ হয়নি। আমরা বেশকিছু সমস্যা চিহ্নিত করেছি। এরমধ্যে এটি অন্যতম বড় সমস্যা। তবে এটুকু বলতে পারি, জুনের মধ্যেই আমরা প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আমরা নিতে সক্ষম হবো।