৮ বছরেও শেষ হয়নি স্কুলছাত্র পায়েল হত্যার বিচার
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার স্কুলছাত্র আসাদুজ্জামান পায়েলকে অপহরণের পর হত্যার ৮ বছর হতে চললেও এখনো শেষ হয়নি মামলার বিচার কাজ। ছেলে হত্যার সুবিচার পেতে ২০১৫ সাল থেকে আদালতে ঘুরছেন বাবা সুলতান আলী।
দ্রুততম সময়ে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার শেষ করে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন সুলতান আলী।
নিহত পায়েলের বাড়ি দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের বলরামপুর তাতীপাড়া গ্রামে। তিনি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৮ জুন রাতে নিখোঁজ হন পায়েল। নিখোঁজের চারদিন পরে বিকেলে বাড়ির এক কিলোমিটার দূরের একটি ডোবা থেকে তার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার হয়। পরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে আটক হন। ওই দিনই মামলা দায়ের করেন পায়েলের বাবা সুলতান আলী।
সেসময় পুলিশের কাছে আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- তাতীপাড়া গ্রামের মহির উদ্দীনের ছেলে নুরুজ্জামান (৩৭), ডাহেনাপাড়া গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে ফরহাদ হোসেন (২৯) এবং বলরামপুর গ্রামের রশিদুল ইসলামের ছেলে হাসানুল ইসলাম (৩১)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পায়েল নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর থেকে ফোন আসে সুলতান আলীর কাছে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বিকৃত কণ্ঠে পায়েলের মুক্তিপণ বাবদ তিনলাখ টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু টাকা নিয়ে কোথায় যেতে হবে তা জানানো হয়নি। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে অপহরণে সংশ্লিষ্টা পাওয়া যায় ওই তিনজনের। পরে স্থানীয়ভাবে বসে ওই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেন। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ডোবা থেকে বস্তাবন্দি পায়েলের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পায়েলের বাবা সুলতান আলী বলেন, ‘পুলিশ ২০১৫ সালের ৩১ আগষ্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে বিচার কাজ শুরু হয়। এরপর ৮ বছর হয়ে গেলেও বিচারকাজ শেষ হয়নি। আসামিদের একজন জামিন নিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। অপর দুইজন জামিন নিয়ে বের হবার পর থেকেই লাপাত্তা। এ অবস্থায় সঠিক বিচার পাওয়া নিয়ে হতাশায় ভুগছি আমরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘাতকরা আমরা ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। আমার ছেলেন অপরাধটা কি ছিলো তা আজও আমরা জানতে পারলাম না। অথচ আসামিরা বিভিন্নভাবে আমাকে হমকি দিচ্ছে মামলাটি আপোসের জন্য। আমি ঘাতকদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’
এদিকে, চাঞ্চল্যকর এ মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে দাবি করে চলতি মাসেই মামলার রায় প্রত্যাশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আমিনুর রহমান বলেন, ‘বাদী অবশ্যই ন্যায় বিচার পাবেন। আমরা এ ব্যাপারে আশাবাদী।’
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১১/০৩/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়