এইমাত্র পাওয়া

বিনা বেতনে আলো ছড়াচ্ছেন অর্ধশতাধিক শিক্ষক বিলুপ্ত ছিটমহলে

মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা( লালমনিরহাট প্রতিনিধি) :

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় নতুন বাংলাদেশ বিলুপ্ত ছিটমহলের ১০টি বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক শিক্ষিকা দিনের পর দিন বিনা বেতনে শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে যাচ্ছেন।সরেজমিনে পাটগ্রাম উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহলের বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র।

বিলুপ্ত ছিটমহলের শিশুদের এগিয়ে নিতে বিনা বেতনে শ্রম দিয়ে আসছেন প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা ।জানা যায়, উপজেলার জোংড়া ইউনিয়নের ১১৯নং বাশঁকাটা বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১২০নং বিমলা গোপাল বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জগতবেড় ইউনিয়নের ১৩২নং খানকি বাঁকাটা ছিটমহলে আলিম জামুর বাড়িবে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৩১নং খানকি বাঁশকাটা তাঁতীপাড়া বঙ্গবন্ধু বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রীরামপুর ইউনিয়নে ২৩নং খাসপাড়া দারিকামারী(কাউয়ামারী) ছিটমহলে কুমুর উদ্দীন মছিরন বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২১নং পানিশালা ছিটমহলে ছলেমান কবিরন নগর বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৬নং ভোটবাড়ী ছিটমহলে ফুলজান রহিম উদ্দিন টারী বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বুড়িমারী ইউনিয়নের ১৪নং লতামারী ছিটমহলে মৌলভী খিজিরপাড়া বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৪নং লতামারীতে তরিমল আছিয়া বাড়ি বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কুচলিবাড়ি ইউনিয়নে ৮নংভোটবাড়ি ছিটমহলে আজিজুল নগর ভোটবাড়ি বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।ছিটমহল বিনিময়ের আগে এবং পরে স্থাপিত এই বিদ্যালয় গুলোতে নেই কোন উপবৃত্তি, নেই কোন স্কুল ফিটিংয়ের ব্যবস্থা। শিক্ষকরাই তাদের পকেটের টাকা দিয়ে দোকান থেকে বিস্কুট কিনে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিতরণ করেন বলে স্থানীয় উপস্থিত অনেক অভিভাবক জানান।

কি হবে এই ১০টি বিদ্যালয়ের কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রী ও অর্ধশতাধিক শিক্ষক শিক্ষিকাদের? আশার আলো কি জ্বলবে না তাদের ভাগ্যে ? এক দিকে দিনের পর দিন চলছে সেচ্ছাশ্রম অন্যদিকে চলমান সময়ে সাথে সাথে শেষ প্রান্তে তাদের সরকারি চাকুরীতে যোগদানের বয়স! তাহলে কি নিভে যাবে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক শিক্ষিকার আশা। ১১৯নং বাঁশকাটা ছিটমহলে অবস্থিত বাঁশকাটা বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিব্য নাথ রায় অশ্রুসিক্ত কন্ঠে বলেন, জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা ‘মা’কে আমরা বিলুপ্ত ছিটমহলের জনগণ‘মা’ বলেই মান্য করি, তাই মানবতার জননীর কাছে আমাদের একটাই দাবি তিনি বিলুপ্ত ছিটমহলে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছেন কিন্তু শিক্ষাখাতে বিভিন্ন স্কুল কলেজ গড়ে উঠলেও এখন পর্যন্ত জাতীয়করণের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেননি, তাই আমরা বিলুপ্ত ছিটমহলবাসি প্রতিষ্ঠিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠাকে জাতীয়করণের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।এ ব্যাপারে পাটগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান, আমাদের কাছে এখনো জাতীয়করণের ব্যাপারে চিঠি আসেনি, আমরা কর্তৃপক্ষকে বার বার অবহিত করছি, ফলাফল কি আসে দেখে বলতে পারবো ।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.