এইমাত্র পাওয়া

পিইসিতে থাকছে না গ্রেডিং পদ্ধতি

শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ কমাতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় গ্রেডিং পদ্ধতি বাতিল করে নম্বরের ভিত্তিতে পাস অথবা ফেল ঘোষণার মাধ্যমে মেধার যাচাই করার পরিকল্পনা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, শিশুদের মেধার যেন ঠিকমতো বিকাশ হয় সেজন্য ওদের ওপর থেকে পড়াশোনার বাড়তি চাপ কমাতে হবে।

তিনি বলেন, জিপিএ-৫-এর পেছনে ছুটতে গিয়ে শিশুদের মেধার বিকাশ হচ্ছে না। ওদের শৈশব হবে আনন্দের। আনন্দ করে পড়াশোনা করবে। এ কারণেই এই পরীক্ষা থেকে গ্রেডিং পদ্ধতি তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছি। হয়তো কেউ পাস করবে নয়তো কেউ ফেল। এভাবেই ফল প্রকাশ করা হবে। ২০২১ সাল থেকে এই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করা যায় কি না তা ভাবছি।

এদিকে ২০০৯ সাল থেকে দেশব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা চালু করা হয়। এরপর ২০১০ সালে প্রণীত শিক্ষানীতিতেও এই পরীক্ষাটি চালু না রাখার ব্যাপারে সুপারিশ করা হয়। এরপর শিক্ষাবিদ, অভিভাবকসহ দেশের সচেতন মহল এই পরীক্ষাটি বাতিল করার দাবি করে আসছেন। তবে এই পরীক্ষা বাতিল করা হবে না ঘোষণা করে পদ্ধতিতেই পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষক ও অভিভাবকরা জানান, সমাপনী পরীক্ষা চালুর পর শিশুরা অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। জিপিএ-৫ পাওয়ার জন্য সকাল-বিকাল কোচিং সেন্টারে দৌড়াতে হচ্ছে। চাপে শিশুদের মেধার বিকাশ ঠিকমতো হচ্ছে না।

শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, পরীক্ষা যত কম হবে ততই শিশুদের জন্য ভালো। ওদের মেধার বিকাশের জন্য এই পরীক্ষাটিই বাতিল করা প্রয়োজন। তারপরও গ্রেডিং পদ্ধতির পরিবর্তন এনে পাস অথবা ফেলের মাধ্যমে ফল প্রকাশ করা হলেও শিশুদের ওপর থেকে চাপ বেশ খানিকটা কমবে।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.