নিজস্ব প্রতিবেদক :
পুরস্কার পেতে কার ভালো না লাগে। কর্মক্ষেত্রে প্রায় সবাই পুরস্কার প্রত্যাশা করে থাকেন। তেমনি একজন শাহনাজ কবীর। যিনি কিশোরগঞ্জ এস ভি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। সম্প্রতি তিনি দেশ সেরা প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন, পুরস্কারও পেয়েছেন। গত বুধবার শাহনাজ কবীর পুরস্কার গ্রহণ করেন। তবে পুরস্কার হিসেবে তাকে যে সনদ, মেডেল ও ক্রেস্ট দেওয়া হয়েছে, সবই ভুলে ভরা।
‘জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৯’ উপলক্ষে ২০ জুন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর তাকে দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করে। ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। কিন্তু পুরস্কার হিসেবে তাকে যে সনদ, মেডেল ও ক্রেস্ট দেওয়া হয়েছে, তাতে একাধিক ভুল রয়েছে। এ জন্য ক্ষুব্ধ কিশোরগঞ্জ শহরের বাসিন্দা শাহনাজ কবীর। এদিকে শাহনাজ কবীর এসব ভুল সংশোধনের জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে গিয়েছিলেন।কিন্তু সেখানে গিয়ে বিষয়টি জানানোর পরিচালক, উপ-পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাউকে পাননি। ফলে ভুলে ভরা পুরস্কার নিয়েই ওই দিন সন্ধ্যায় তিনি কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে শাহনাজ কবীর জানান, প্রথমে ভুলের বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয়নি। পরে বাসায় ফিরে দেখেন, তিনটি পুরস্কারেই অনেক ভুল রয়েছে। যেমন তিনি এস ভি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। কিন্তু সনদপত্রে ‘এস ভি’ না লিখে লেখা হয়েছে ‘এম ভি’, আবার বিদ্যালয়টি কিশোরগঞ্জের হলেও সনদে লেখা হয়েছে ‘ময়মনসিংহ’। আবার তার জন্য তৈরি একমাত্র মেডেলেও বিদ্যালয়ের নাম ‘এস ভি’ না লিখে ‘এম ভি’ লেখা হয়েছে। বালিকার জায়গায় ‘বালিক’ লেখা হয়েছে। একই ধরনের ভুল ক্রেস্টেও রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ের পুরস্কারে এত ভুল মেনে নেওয়াটা কষ্টকর। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তিনি বিদ্যালয়ের নাম-ঠিকানাসহ সবকিছু আগেই সঠিকভাবে লিখে জানিয়েছিলেন। পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে দেওয়া চিঠিতেও বিদ্যালয়ের নাম-ঠিকানা ঠিকঠাক ছিল।’
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.